ন্যাশনাল হেরাল্ড : রাহুল গান্ধীকে ম্যারাথন ৮ ঘণ্টার জেরা, বুধবার ফের তলব ইডির
ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় রাহুল গান্ধীকে ম্যারাথন ৮ ঘণ্টা জেরা করলেন ইডির আধিকারিকরা। টানা দুদিন জেরা করার পরও খুশি নন তদন্তকারীরা। বুধবার ফের রাহুল গান্ধীকে তলব করা হল।
ন্যাশনাল হেরাল্ড অর্থ তছরূপ মামলায় রাহুল গান্ধীকে ম্যারাথন ৮ ঘণ্টা জেরা করলেন ইডির আধিকারিকরা। টানা দুদিন জেরা করার পরও খুশি নন তদন্তকারীরা। বুধবার ফের রাহুল গান্ধীকে তলব করা হল। সোমবারের পর মঙ্গলবারও রাহুল গান্ধী তাঁর বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে সঙ্গে নিয়ে মধ্য দিল্লির এপিজে আবদুল কালাম রোডে ইডি সদর দফতরে এসেছিলেন। সকাল সাড়ে ১১টায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছিল।
বুধবার টানা তৃতীয় দিন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। ন্যাশনাল হেরাল্ড মানি লন্ডারিং কেসে মঙ্গলবার টানা দ্বিতীয় দিনে ফেডারেল এজেন্সির কর্মকর্তারা আট ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে কংগ্রেস সাংসদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন। সোমবার প্রায় ১০ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে রাহুল গান্ধীকে মঙ্গলবার ফের ডাকা হয়েছিল। এদিন ৮ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর ফের বুধবার তলব করা হল।
প্রায় চার ঘণ্টা পর রাহুল গান্ধীকে প্রায় এক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবা বিরতি দেওয়া হয়। বিকেল সাড়ে তিনটার নাগাদ বাড়ি চলে যান তিনি। বিকেল সাড়ে চারটের পর পুনরায় ইডির মুখোমুখি হন তিনি। সূত্রের খবর প্রশ্ন করা এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে বক্তব্য রেকর্ড করতে অনেক সময় লাগছে। অন্যদিকে কংগ্রেস সদর দফতরে ধর্নায় শামিল হয়েছেন দলের সিনিয়র নেতারা। রাজস্থান ও ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী যথাক্রমে অশোক গেহলট ও ভূপেশ বাঘেল এবং দলের সাংসদরাও উপস্থিত ছিলেন।
কেন্দ্রীয় দিল্লিতে পার্টির সদর দফতরের বাইরে কয়েকশো কংগ্রেস কর্মীকে আটক করা হয়েছিল। কারণ তাঁরা দ্বিতীয় দিনের ইডির তলবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছিলেন। সাংসদ কেসি বেণুগোপাল এবং অধীররঞ্জন চৌধুরীকেও আটক করা হয়। লোকসভা সাংসদ মানিকম ঠাকুর বলেছেন যে তাকে এবং পিএল পুনিয়া-সহ আরও কয়েকজনকে কংগ্রেস অফিসে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি এবং মন্দির মার্গ থানায় তাঁদের আটক করা হয়েছিল।
আটক হওয়া অন্যান্য নেতাদের মধ্যে ছিলেন রণদীপ সুরজেওয়ালা, জয়রাম রমেশ, গৌরব গগৈ, দীপেন্দর সিং হুডা, রঞ্জিত রঞ্জন, জেবি মাথার, ইমরান প্রতাপগড়ী, যুব কংগ্রেসের প্রধান শ্রীনিবাস বিভি এবং ন্যাশনাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ ইন্ডিয়ার প্রধান নীরজ কুন্দন-সহ কয়েকজন। বিক্ষোভ নিয়ে কংগ্রেসকে নিশানায় বিজেপি বলেছে যে কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। যখন দুর্নীতির মামলায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, কংগ্রেস তখন নাটক শুরু করেছে এবং রাস্তা অবরোধ করছে।