লাদাখ ইস্যুতে চিনের থেকেও জেদি রাহুল গান্ধী! রাজনৈতিক কেরিয়ার জলাঞ্জলি দিতেও রাজি
লাদাখ নিয়ে ধারাবাহিক ভিডিও বা টুইট করা এখন রাহুল গান্ধীর রোজকার রুটিনের অংশ। এহেন পরিস্থিতিতে পাল্টা বিজেপির তোপও সহ্য করতে হচ্ছে তাঁকে। এই পরিস্থিতিতে রাহুল গান্ধীর বক্তব্য, তিনি দেশের স্বার্থে লাদাখ ইস্যুতে চুপ বসবেন না। বরং দেশের জন্য নিজের রাজনৈতিক কেরিয়ারেও তোয়াক্কা করবেন না।
চিন ভারতের ভূখণ্ডে ঢুকে জমি দখল করেছে
এদিন নয়া এক ভিডিওতে রাহুল বলেন, 'চিন ভারতের ভূখণ্ডে ঢুকে জমি দখল করে রেখেছে। এবং এই বিষয়টি লুকিয়ে রাখা হল দেশবিরোধী কার্যকলাপের শামিল। আমার রক্ত ফুটছে এই কথাটা জেনে যে চিন আমাদের দেশে এসে ঢুকে বসে আছে। আমি স্যাটেলাইট ছবি দেখেছি। প্রাক্তন সেনা কর্তাদের সঙ্গেও এই বিষয়ে কথা বলেছি। আমাকে যদি কেই এরপরও মিথ্যা বলতে বলে যে চিন ভারতে ঢোকেনি, তাহলে আমি তা বলব না।'
বিজেপি তথা কেন্দ্রকে তোপ
এরপর বিজেপি ও কেন্দ্র সরকারের নাম না করে তাদের পাল্টা তোপ দেগে রাহুল বলেন, আমার কিছু যায় আসে না যদি আমার রাজনৈতিক কেরিয়ার ডুবে যায়। কবে আমি সব সময় দেশের স্বার্থে দাঁড়াব ও কথা বলব। যারা বলছে যে এখনও দেশে চিনা সেনা জমি দখল করেনি, তারাই প্রকৃত পক্ষে দেশ বিরোধী।
বিজেপির অস্ত্রে তাদেরকে ঘায়েল করার চেষ্টা
শুরু থেকেই চিন ইস্যুতে আক্রমণাত্মক তিনি। তাঁর স্পষ্ট অভিযোগ, দেশের সীমান্ত রক্ষা করতে ব্যর্থ মোদী। এদিকে ২০১৪ সাল থেকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তথা বিজেপির অন্যতম রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা জাতীয়তাবাদ। জাতীয়তাবাদ অস্ত্রেই ২০১৯ লোকসভায় কংগ্রেসকে ঘায়েল করেন মোদী। এখন সেই অস্ত্র ব্যবহারেই বিজেপিকে পাল্টা ঘায়েল করতে চাইছেন রাহুল।
লাদাখ এখন রাহুলের পার্সোনাল ফাইট
তবে থেকে থেকে রাহুলের এই আক্রমণকে প্রতিহত করতে বিজেপি রাহুলের মজা ওড়ানোর পাশাপাশি রাজীব গান্ধী ফআউন্ডেশনের সূত্র ধরে গান্ধী পরিবার-চিনের সম্পর্ক নিয়ে পুরোনো ইতিহাস খুঁচিয়ে চুলেছে। তাই রাজনৈতিক ভাদে বিজেপির বিরোধিতার পাশাপাশি চিন ইস্যু এখন রাহুলের জন্যে প্রেস্টিজ ও পার্সোনাল লড়াইয়ে পরিণত হয়েছে।
সম্প্রদায়ের অস্তিত্ব বাঁচাতে ৬০ হাজার কোভিশিল্ড প্রতিষেধক আলাদা করে রাখতে চান সিরামের পারসি কর্ণধার