গুজরাতে মহিলাদের ফোনে আড়ি পাতেন নরেন্দ্র মোদী, অভিযোগ রাহুলের
কংগ্রেস প্রার্থী বিশ্বজিৎ কদমের প্রচারে সমর্থনে পুণেতে প্রচারে গিয়ে রাহুল বলনে, গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী মহিলাদের ফোনে আড়ি পাতেন। রাজ্যের পুলিশ মহিলাদের ধাওয়া করেন। নারী ক্ষমতায়নের কথা বলার আগে নারীকে সম্মান করতে শেখা উচিত ওদের।
কংগ্রেসের শাসন ক্ষমতায়া থাকা রাজ্যগুলি যেখানে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করছে সেখানে বিজেপি শাসনের অধীন রাজ্যগুলিতে নারী কল্যাণের ভয়ঙ্কর রূপ পরিলক্ষিত হয়। রাহুল গান্ধীর অভিযোগ, ছত্তিশগড় থেকে ২০,০০০ মহিলা নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন। আমরা নারী ক্ষমতায়াণের প্রচেষ্টা করছি কিন্তু বিজেপি মহিলাদের সংরক্ষণ বিলের বিরোধীতা করছে বলে মন্তব্য করেন রাহুল।
মোদীর জনসভা ও বিজ্ঞাপনের খরচ গুজরাতের টফি মডেল থেকেই আসছে : রাহুল
শুধু এই নয়, এদিন গুজরাতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একহাত নেন রাহুল। মোদীর জনসভা ও বিজ্ঞাপনে টাকা জলের মতো বাহিত করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন রাহুল তিনি বলেন, বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর এক একটি জনসভার জন্য প্রায় ১০ কোটি টাকার মতো খরচ করা হচ্ছে। সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য কোটি কোটি টাকা ওড়ানো হচ্ছে। এই টাকা কোথা থেকে আসছে? আর এই টাকা গুজরাতের টফি উন্নয়ন মডেল থেকে আসছে বলেই মন্তব্য করেন রাহুল। তিনি বলেন টফি মডেল থেকে যারা লাভবান হচ্ছেন তারাই মোদীর জন্য টাকা ঢালছেন।
একদিন আগেই মহারাষ্ট্রের লাতুরে একটি জনসভায় বক্তব্য় রাখতে উঠে রাহুল বলেন, মোদীর বহুল প্রচারিত গুজরাতের উন্নয়ন মডেল আদতে টফি মডেল। এটা শুধুই এক স্তরের শিল্পপতিদের সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দিচ্ছে। কৃষক ও গরীব সাধারণ মানুষের স্বার্থকে উপেক্ষা করা হচ্ছে।
রাহুল উদাহরণ দিয়ে বলেন, ঔরঙ্গাবাদের জমির পরিমাণ ৪৫,০০০ একর। মাত্র ৩০০ কোটি টাকার বিনিময়ে ওই জমি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। টাট গোষ্ঠীকে ন্যানো কারখানার জন্য গুজরাত সরকার ১ শতাংশ সুদে ১০,০০০ কোটি টাকা দিয়েছে বলেও অভিযোগ তোলেন রাহুল।
মোদীর চৌকিদার মন্তব্যকে কটাক্ষ করে রাহুলের বক্তব্য, উনি দেশের চৌকিদার হতে চাইছেন। ওঁকে গুজরাতের চৌকিদার করা হয়েছিল, ফল তো মানুষ এখন হাতে নাতে পাচ্ছেন।