পুরু ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা দিল্লি, স্বাস্থ্য সুরক্ষার নিরিখে ‘জরুরি অঞ্চল’ হিসাবে চিহ্নিত বুধবার থেকেই
পুরু ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা দিল্লি, স্বাস্থ্য সুরক্ষার নিরিখে ‘জরুরি অঞ্চল’ হিসাবে চিহ্নিত বুধবার থেকেই
বুধবার সকাল থেকেই পুরু ধোঁয়াশার আস্তরণে ঢাকা পড়েছে দিল্লি। পাশাপাশি সংলগ্ন শহরগুলিতেও বায়ু দূষণের পরিমাণ কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। এদনিই দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের বায়ুমান সূচকের নিরিখে রাজধানীর বায়ুদূষণ 'মারাত্মক' বিভাগে প্রবেশ করেছে।
কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তথ্য অনুসারে, এদিন সকাল ৬টায় দিল্লির লোধি রোডে বায়ু মান সূচক ছিল ৫০০-র ঘরে। পাশাপাশি একই সময় নয়ডায় বায়ুমান সূচক ছিল ৪৭২-র ঘরে। সাধারণ বায়ুমান সূচক ২০০-৯ গণ্ডি ছাড়ালেই তাকে মানব শরীরের পক্ষে অস্বাস্থ্যকর বলে চিহ্নিত করে দেশের দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড। অন্যদিকে মঙ্গলবার বিকেল ৪টের সময় দিল্লির বায়ুমান ৪২৫-এ দাঁড়িয়েছিল। অন্যদিকে রাত ৯টার সময় তা দাঁড়ায় ৪৩7-এ। সোমবার বিকেল ৪টের সময় তা ছিল ৩৬০-এ।
বাতাসে পিএম ২.৫ এর মাত্রা বৃদ্ধি
অন্যদিকে এই কদিনে বাতাসে ক্ষতিকর বায়ুকণা পিএম ২.৫ এর মাত্রাও প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পায়। ২.৫ মাইক্রোন ব্যাসের চেয়ে কম এই ক্ষুদ্র বায়ুকণাটি সহজেই আমাদের ফুসফুস এমনকি রক্ত প্রবাহের মধ্যে প্রবেশ করে আমাদের স্বাস্থ্যহানি ঘটাতে পারে। রাজধানীর বায়ুতে প্রতি ঘনমিটারে ৩৩৭ মাইক্রোগ্রাম পর্যন্ত ২.৫ এর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে এটি ৩০০-র গণ্ডি ছাড়ালেই তা মানবশরীরে জন্য দুরারোগ্য ব্যাধি বয়ে আনতে পারে।
নতুন করে খড় পোড়ানো শুরু প্রতিবেশী রাজ্যগুলিতে
মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে দিল্লির পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলিতে নতুন করে খড় পোড়ানো শুরু হলে অবস্থার আরও অবনতি হয়। বিষাক্ত ধোঁয়ার চাদরে ঢাকা পরে দিল্লি এবং শহরতলি। বিশেষজ্ঞদের মতে, দিল্লির উত্তর-পশ্চিম দিকের রাজ্য গুলির পাশাপাশি হরিয়ানা ও পাঞ্জাবেও নতুন করে খড় পোড়ানোর ঘটনা বায়ু দূষণের পরিমাণ বৃদ্ধিকে আরও নতুন করে প্রভাবিত করছে। দূষণের মাত্রা বৃদ্ধির ফলে বাতাসের গতিবেগও উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাস পেতে পারে। ১৫ই নভেম্বরের পর অবস্থার কিছুটা উন্নতি হতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।