ফের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনার পারদ চড়ালেন রঘুরাম রাজন
মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর পদ ছেড়েছিলেন রঘুরাম রাজন। প্রবল মতবিরোধ ছিল মোদী সরকারের সঙ্গে। সেই মতবিরোধ এতোটাই প্রবল যে পদ ছেড়েও সমালোচনা পারদ চড়িয়েছেন তিনি।
নরেন্দ্র মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর পদ ছেড়েছিলেন রঘুরাম রাজন। প্রবল মতবিরোধ ছিল মোদী সরকারের সঙ্গে। সেই মতবিরোধ এতোটাই প্রবল যে পদ ছেড়েও সমালোচনা পারদ চড়িয়েছেন তিনি। নোটবন্দি থেকে সামাজিক স্তরের মোদী সরকারের প্রতিটি কাজের কট্টর সমালোচকের ভূমিকায় বারবার দেখা গিয়েছে তাঁকে। আবারও সেই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে শোনা গেল রাজনকে। তিনি দাবি করেছেন মোদী সরকার যে মেরুকরণের রাজনীতি করছেন তা কখনও দেশের উন্নতি ঘটাতে পারে না।
মোদী সরকারের সমালোচনায় রাজন
মোদী সরকারের মেরুকরণের রাজনীতির বিরুদ্ধে এবার সুর চড়ালেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন। তিনি অভিযোদ করেছেন মোদী সরকার দেশাত্মবোধের জিহির তুলে যে মেরুকরণের রাজনীতি করে চলেছেন তাতে দেশের একতা রক্ষা করা যায় না। দেশপ্রেমও তৈরি হয় না। এতে দেশের নিরাপত্তাও সুনিশ্চিত হয় না। তাঁরা নিজেদের শর্তে দেশাত্মবোধকে তৈির করতে চাইছে। যা কখনও দেশবাসীর পক্ষে মঙ্গলজনক নয়। দেশাত্মবোধের নাম করে হিন্দুত্বকে প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে বিজেপি সরকার। এমনই অভিযোগ করেছেন রঘুরাম রাজন।
দেশাত্মবোধ আসে অন্তর থেকে
রাজন দাবি করেছেন জোর করে দেশাত্মবোধ কারোর মধ্যে তৈরি করা যায় না। সেটা একমাত্র তৈরি হয় একাত্মবোধ থেকে। এই একাত্মবোধ যতদিন না তৈরি হবে দেশবাসীর মধ্যে ততদিন দেশাত্মবোধ সার্বিক রূপ নিতে পারবে না বলে দাবি করেছেন তিনি।
একাত্ম বোধ আর আর্থিক উন্নয়নেই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যায়
আমেরিকায় এক বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর বলেছেন, মেরুকরণের রাজনীতি বিভেদ তৈরি করছে দেশে। সংখ্যালঘুদের একপ্রকার নির্মূল করার কৌশল শুরু হয়েছে। দেশের উন্নতি করতে হলে একাত্মবোধ তৈরি করতে হবে দেশবাসীর মধ্যে। তারসঙ্গে জরুরি আর্থিক উন্নয়ন। তাবেই দেশের উন্নয়ন সম্ভব।
কিন্তু মোদী সরকার ভারতকে ক্রমশ পিছনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। ভারতকে অনিশ্চিত অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাচ্ছে মোদী সরকার।
[ মমতার পর মোদী! মহাবলীপুরমে কবিতা লিখে প্রধানমন্ত্রী কোন বার্তা দিলেন ]
[ পরিকল্পনায় বদল! পাকিস্তানের সঙ্গে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় মোতায়েন আরও সেনা]