ভারতের মাটিতে বিধ্বংসী রাফাল যুদ্ধবিমান! চিনা আগ্রাসন ঠেকাতে কি প্ল্যান ভারতীয় বায়ু-সেনার
ভারতের মাটিতে বিধ্বংসী রাফাল যুদ্ধবিমান! চিনা আগ্রাসন ঠেকাতে কি প্ল্যান ভারতীয় বায়ু-সেনার
নতুন ইতিহাস রচনা হতে চলেছে ভারতীয় বায়ু-সেনার হাত ধরে। আজ অর্থাৎ বুধবারই বায়ু-সেনার হাতে আসছে রাফাল যুদ্ধবিমান। ইতিমধ্যেই নির্দিষ্ট সময় মতোই ফ্রান্স থেকে আগত পাঁচটি রাফাল যুদ্ধ বিমান ভারতের মাটি ছুঁয়ে ফেলেছে বলে খবর। ৭০০০ কিলোমিটার দূরত্ব পেরিয়ে এদিনে হরিয়ানার আম্বালার বায়ু-সেনা ঘাঁটিতে অবতরণ কর সেগুলি। এদিকে রাফাল যুদ্ধবিমানে ক্রমেই চড়ছে উত্তেজনার পারদ।
৩৬ টি রাফাল যুদ্ধবিমান আসতে চলেছে ভারতে
চিনের সঙ্গে সংঘাতের আবহে রাফাল যুদ্ধবিমানের হাত ধরে বায়ু-সেনার শক্তিবৃদ্ধি গোটা দেশকেই নতুন করে অক্সিজেন জোগাবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এদিকে ২০১৬ সালের ভারত ও ফ্রান্সের চুক্তি অনুযায়ী বর্তমানে ৩৬টি রাফালে যুদ্ধবিমান পাওয়ার কথা রয়েছে ভারতের। তার মধ্যেই প্রথম ৫টি আসছে চলতি সপ্তাহেই। এই রাফালে জেটগুলি বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে সক্ষম। পাশাপাশি এর মধ্যেই এয়ার-টু- এয়ার এবং স্কাল্প ক্রুইস ক্ষেপণাস্ত্রও রয়েছে।
রাফালের হাত ধরে আকাশপথে চিন ও পাকিস্তানকে পিছনে ফেলছে ভারত
এদিকে রাফাল প্রসঙ্গ আসতেই অনেকই চিনের ‘স্টেলথ এয়ার সুপিরিওরিটি ফাইটার' জে-২০-র সঙ্গে এর তুলনা টানেন। যদিও সামরিক বিশেষজ্ঞদের মতে রাফাল আসার পরে আকাশ-যুদ্ধের প্রযুক্তিতে চিনকে পিছনে ফেলে দিতে চলেছে ভারতীয় বায়ু-সেনা। পাশাপাশি উৎকর্ষের দিক থেকেও ভারতের অন্যতম প্রধান প্রতিযোগী পাকিস্তান বিমানবাহিনীও কার্যত তুলনাতেই আসবে না।
আম্বালা বিমানঘাঁটিতে রাফালের জন্য বিশেষ পরিকাঠামো
এদিকে রাফাল যুদ্ধবিমান রাখার জন্য আম্বালা বিমানঘাঁটিতে আলাদা করে পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে বলে বায়ু-সেনা সূত্রে খবর। এর মধ্যে রয়েছে, বিমান রাখার জায়গা (হ্যাঙ্গার), এয়ার-স্ট্রিপ ও কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম। এদিনই ভারতীয় বায়ু-সেনার "গোল্ডেন অ্যারোস" এ যোগ দেবে অত্যাধুনিক ৫টি রাফাল যুদ্ধবিমান।
চিনের সঙ্গে সংঘাতে কি ভাবে অগ্রণী ভূমিকা নেবে রাফাল ?
এদিকে চিনের সঙ্গে সংঘাতের আবহে আগামীতে রাফাল যুদ্ধবিমান কিভাবে অগ্রণী ভূমিকা নেবে তাও বিস্তারিত জানান প্রাক্তন বায়ু-সেনা প্রধান বিএস ধানোয়া। এর আগে বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকের প্রধান মাথা ছিলেন তৎকালীন এয়ার চিফ মার্শাল ধানোয়া। তাঁর কথায়, "ভারতীয় বিমান বাহিনী যদি প্রতিপক্ষের বায়ু প্রতিরোধ ভেঙে দেয়, তাহলে চিনা সেনা য়ারা হোতান ও লাসায় থাকতে পারে। সেখানে তাদের সহজেই টার্গেট করা যাবে। পাশাপাশি বর্তমানে হোতানে ৭০টি ও লাসায় ২৬টি বিমান চিনের তরফে রাখা রয়েছে বলেও জানান তিনি।"
চিনা বায়ু-সেনাতে ব্যবহৃত একাধিক পণ্যাদির গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন
ধানোয়ার মতে চিনের পঞ্চম জেনারেশন জে-২০কে কাবু করতে ভারতের Su-30 MKI যুদ্ধবিমানই বড় ভূমিকা রাখতে পারে। তাতে কাজ না হলে একহাতে পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবে রাফাল। একইসাথে চিনের বায়ু-সেনাতে ব্যবহৃত একাধিক পণ্যাদির গুণগত মান নিয়েও প্রশ্ন তুলতে দেখা যায় তাকে। রাশিয়ার থেকেও চিনে এখন খারাপ যন্ত্রাংশ তৈরি হচ্ছে বলে মত সামরিক বিশেষজ্ঞদের।
চিনকে কাঁদাতে ভারতের নয়া অস্ত্র রাফায়েল! জানুন এই যুদ্ধবিমানের সব খুঁটিনাটি