পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে মহিলাদের জোর করে নামানো হত দেহ ব্যবসায়! ফাঁস বড়সড় মধুচক্রের কেলেঙ্কারি
গেস্ট হাউসের তিনতলাতে রমরমিয়ে চলছিল মধুচক্র। সোমবার রাতে হাতেনাতে সেই চক্রকে ধরল পুলিশ। ফাঁস হল বড়সড় মধুচক্রের ভান্ডার! নয়ডার সেক্টর ৫১ এলাকার বহুতলেই চলছিল ওই মধুচক্র। মূল অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
যারা এই র্যাকেট চালাত, তাদের মধ্যে রয়েছে আকাশ, শিবম, রমেশ, অভিষেক, যোগেশ, প্রমোদ, পূজা নাগপাল ও মিলন ঠাকুর। সেক্টর ১৮ এলাকায় ওই চক্রের হোতারাই একটি স্পা চালাত। তার আড়ালেই এই ব্যবসা চলত বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। যদিও ইতিমধ্যে দফায় দফায় দফায় অভিযুক্তদের জেরা শুরু করেছে স্থানীয় পুলিশ।
মধুচক্রের আড়ালে মহিলা পাচার সহ অন্য কিছু হত কিনা তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, এই মধুচক্রের আড়ালে কোনও বড় মাথা জড়িত কিনা তাও জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। পুলিশ সূত্রে খবর, চলতি বছরের শুরুতে ওই স্পা বন্ধ হয়ে যায়।
পুলিশ জানিয়েছে স্পা-তে আসা কাস্টমারদেরকে এই ব্যবসায় যুক্ত করা হত। পরে স্পা বন্ধ হয়ে যাওয়ার সময় কাস্টমারদের ওই গেস্ট হাউসের ঠিকানা বলে দেওয়া হয়। তল্লাশি চালাতে গিয়ে গেস্ট হাউস থেকে ১০ জন মহিলাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে একাধিক মোবাইল, কনট্রাসেপটিভ পিল ইত্যাদি।
কাস্টমারদের কারও কাছ থেকে ৫ হাজার, কারও কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছিল নয়ডার ডিসিপি রনবিজয় সিং জানিয়েছেন, গেস্ট হাউসটি অভিযুক্তরা ব্যবহার করত বাড়ি হিসেবে। হোয়টসঅ্যাপে বুকিং চলত। আট ম্যানেজারকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সঙ্গে ছিল ১০ জন কাস্টমার।
তাদেরও ধরে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। জেরায় পুলিশকে উদ্ধার হওয়া মহিলারা জানিয়েছেন, তাঁরা স্পা-তে কাজ করতে আসতেন কিন্তু ম্যানেজাররা তাদের জোর করে এই ব্যবসায় নামিয়ে দেয়। ব্যবসায় নামতে না চাইলে টাকা দেওয়া হবে না বলে হুমকি দিত ম্যানেজাররা।
এই ঘটনায় সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ প্রশাসন। জানা গিয়েছে, শহরে আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কোনও এমন দেহ ব্যবসা চলছে কিনা তা জানার জন্যে আগামিদিনে আরও তল্লাশি অভিযান চালানো হবে।