'কলঙ্কনগরী' দিল্লিতে বর্ণবিদ্বেষী হামলার শিকার দুই মণিপুরী তরুণী
স্থানীয় সূত্রের খবর, মণিপুরের যুবতী চোনমিলা কাজ করেন কোটলা মুবারকপুরের একটি শপিং মলে। গত ২৫ জানুয়ারি রাত ন'টা নাগাদ ডিউটি শেষ করে তিনি যান থরমিলা জাজো-র দোকানে। থরমিলা জাজো নিজেও মণিপুরের মেয়ে। অভিযোগ, চোনমিলা যখন কেনাকাটা সারছেন, তখন একটু দূরে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজন মদ্যপ যুবক তাঁদের উদ্দেশে বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য ছুড়ে দেয়। শুনেও না শোনার ভান করে থাকেন ওই দুই যুবতী। কোনও প্রতিক্রিয়া না পেয়ে যুবকের দল সাহস পেয়ে যায়। একজন যুবকের সঙ্গে তার পোষা কুকুরও ছিল। অভিযোগ, ওই যুবক কুকুরটিকে নিয়ে এগিয়ে আসে। কুকুরের গলায় বাঁধা দড়িটি জড়িয়ে দেয় চোনমিলার পায়ে। এবার ভয়ে চোনমিলা চিৎকার করতে থাকেন। চেঁচাতে শুরু করেন থরমিলা জাজো। প্রচণ্ড চিৎকারে ওই মদ্যপ যুবকরা রেগে গিয়ে হামলা চালায় দুই তরুণীর ওপর। তারা বেধড়ক মারধর করে দু'জনকে। পথচলতি মানুষ বা আশপাশের দোকানদাররা কেউ প্রতিবাদ করেনি।
রক্তাক্ত অবস্থায় দুই যুবতী ফোন করে তাঁদের কয়েকজন বন্ধুকে ডাকেন। থানায় গেলে পুলিশ এফআইআর নিতে অস্বীকার করে। উল্টে পুলিশ বলেছে, এত হাঙ্গামা করার কী দরকার! চুপচাপ পাহাড়ে ফিরে যান। শেষে ওপরমহলে অভিযোগ জানানোর পর পুলিশ অভিযোগ নিতে বাধ্য হয়। তবে ঘটনার পর এক সপ্তাহ কেটে গেলেও কেউ গ্রেফতার হয়নি।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ জানুয়ারি বর্ণবিদ্বেষের শিকার হয় অরুণাচলপ্রদেশের ছাত্র নিডো টানিয়াম। তাকে অমানুষিক প্রহার করা হয়েছিল। ৩০ জানুয়ারি তিনি মারা যান। আর দুই মণিপুরী যুবতীর ঘটনা প্রশাসন প্রথমে চেপে দিতে চেয়েছিল। দেরিতে হলেও তা জানাজানি হওয়ায় এখন দিল্লিতে আলোড়ন শুরু হয়েছে।