বেঙ্গালুরুতে শুরু বাংলাদেশি চিহ্নিতকরণ! বাংলাভাষী কাজের লোক না রাখার 'নির্দেশ'
অবৈধ বাংলাদেশিদের ধরতে পথে নেমেছে বেঙ্গালুরুর প্রশাসন। সেখানকার বিভিন্ন অ্যাপার্টমেন্টে বাঙালি আর বাংলাদেশি চিহ্নিতকরণের কাজ চলছে
অবৈধ বাংলাদেশিদের ধরতে পথে নেমেছে বেঙ্গালুরুর প্রশাসন। সেখানকার বিভিন্ন অ্যাপার্টমেন্টে বাঙালি আর বাংলাদেশি চিহ্নিতকরণের কাজ চলছে। অ্যাপার্টমেন্টের বাঙালি বাসিন্দাদের ধরেই অন্যসব বাঙালির ভৌগলিক অবস্থান জানার চেষ্টা চালাচ্ছে প্রশাসন। আর এর জেরেই আতঙ্কিত সেখানকার বাংলাভাষী শ্রমিকরা।
অনেক মানুষই আছেন, যাঁরা দাবি করেন, তাঁরা পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। কিন্তু যখন তাঁদের কাছে পশ্চিমবঙ্গে নির্দিষ্ট অবস্থানের কথা জানতে চাওয়া হচ্ছে, তখন তাঁরা বলতে পারছেন না। মন্তব্য, বেঙ্গালুরুর বাঙালি সংগঠনের কর্তাদের। যাঁরা পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা তাঁরা তাঁদের অবস্থান নিয়ে তাড়াতাড়িই উত্তর দেবেন। কিন্তু যাঁরা বাংলাদেশের, তাঁরা এরাজ্যের (পশ্চিমবঙ্গের) নির্দিষ্ট স্থান সম্পর্কে বলতে গিয়ে অসুবিধায় পড়ছেন। বলছেন বেঙ্গলি অ্যাসোাসিয়েশনের সদস্যরা।
মুনেকোল্লার একটি অ্যাপার্টমেন্টের এক বাঙালি বললেন, ভাষা প্রায় এক। অনেক সময়ই তা নিয়েই সমস্যা তৈরি হচ্ছে। ফলে জিজ্ঞাসাবাদই একমাত্র উপায় বলেই মনে করছেন তাঁরা। এই অপার্টমেন্টের অন্য বাসিন্দারা জানিয়ে দিয়েছেন, আইনি ঝামেলা থেকে দূরে থাকতে, তাঁরা যেন কোনও বাঙালি বলা সহকারী না রাখেন। আর এই নির্দেশের যে প্রভাব পড়েছে, তা দেখা গিয়েছে বেঙ্গালুরুর বিভিন্ন বিক্রুটমেন্ট এজেন্সি, পুরসভা কিংবা পুলিশ কমিশনারের অফিসে। ইমেলে বলা হয়েছে, সেইসব অ্যাপার্টমেন্টে কাজ করা অনেকেই সম্ভাব্য প্রবাসী বাংলাদেশী। অ্যাপার্টমেন্টের বাঙালিদের স্পষ্ট বলে দেওয়া হচ্ছে, তাঁরা যেন বাংলাভাষী কাজের লোক না রাখেন। না হলে অ্যাপান্টমেন্টের সবাই বিপদে পড়ে যাচ্ছেন।
হোয়াইট ফিল্ড, মারাঠাহাল্লি এবং ইলেকট্রনিক সিটির মতো জায়গা, যেখানে বেঙ্গালুরুর প্রযুক্তিবিদরা থাকেন, সেখানকার অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স থেকে এজেন্সিগুলিকে বলেই দেওয়া হচ্ছে সেখানে যেন কোন বাংলাভাষী কাজের লোক কিংবা সিকিউরিটি গার্ড কিংবা অন্য কাজের লোক না পাঠানো হয়।
বেঙ্গালুরুর অনেক বাঙালিই এই কাজে অসন্তুষ্ট। তাঁরা বলছেন, ভাষার কারণে বাঙালি থেকে বাংলাদেশি পৃথক করার কাজ কঠিন। সেইজন্য বাঙালি শ্রমিকদের ওপর প্রভাব পড়ছে।