For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts
Oneindia App Download

‘করেঙ্গে ইয়ে মরেঙ্গের’ দীপ্ত স্লোগানেই পিছু ব্রিটিশরা, ইতিহাসের পাতায় ভারত ছাড়ো আন্দোলন

‘করেঙ্গে ইয়ে মরেঙ্গের’ দীপ্ত স্লোগনেই পিছু ব্রিটিশরা, ইতিহাসের পাতায় ভারত ছাড়ো আন্দোলন

  • |
Google Oneindia Bengali News

আর কয়েকদিনেই স্বাধীনতার ৭৫ বছরে পা দিতে চলেছে ভারত। এদিকে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের পটভূমিকা যে সমস্ত আন্দোলনগুলি গোটা দেশ তথা বিশ্বের মধ্যে সাড়া জাগিয়েছিল তার মধ্যে অন্যতম ছিল গান্ধীজির ভারত ছাড়ো আন্দোলন। এমনকী এই আন্দোলনের তেজেই ১৯৪২-র পর থেকে ধীরে ধীরে পিছু হটতে শুরু করে ব্রিটিশ রাজ, প্রশস্ত হয় ভারতের স্বাধীনতার রাস্তা। যে শুরু হয়েছিল এই অগাস্টই। অনেক ঐতিহাসিকই সেই কারণে এই আন্দোলনকে অগাস্ট আন্দোলন বলেও অবিহিত করে থাকেন।

করেঙ্গে ইয়ে মরেঙ্গের দীপ্ত স্লোগন ধ্বনিত হতে থাকে গোটা দেশে

করেঙ্গে ইয়ে মরেঙ্গের দীপ্ত স্লোগন ধ্বনিত হতে থাকে গোটা দেশে

এদিকে ইতিহাস বলছে ১৯৪২ সালের ৮ অগাস্ট সহজ কথায় আজকের তারিখেই প্রথম শুরু হয় এই আন্দোলনের যাত্রাপথ। ১৯৪২ সালের ৮ আগস্টেই কংগ্রেসের কার্য-নির্বাহক সমিতি গান্ধীজির ঐতিহাসিক 'ভারত ছাড়ো' প্রস্তাবকে আইনগত স্বীকৃতি জানায় বলেও জানা যায়। আর সেই ভারত ছাড়ো আন্দোলনের 'করেঙ্গে ইয়ে মরেঙ্গের' দীপ্ত স্লোগান ধ্বনিত হতে থাকে ভারতের আকাশে বাতাসে। অর্থাৎ হয় দেশ স্বাধীন করব, না হয় মৃত্যুবরণ করব। যা সেই সময় দেশের বিপ্লবী আন্দোলনকে নতুন মাত্রা দেয়।

জ্বালাময়ী নেত্রীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হন মাতঙ্গিনী হাজরা

জ্বালাময়ী নেত্রীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হন মাতঙ্গিনী হাজরা

দফায় দফায় চলতে থাকে দেশব্যাপী ধর্মঘট, শোভাযাত্রা, মিটিং, মিছিল। এদিকে এই আন্দোলন চলাকালীন রেল অবরোধ, ব্রিটিশ স্কুল-কলেজ বর্জন, বিভিন্ন অফিস-আদালতে অগ্নি-সংযোগ, ট্রেন ও টেলিফোন সংযোগ বিছিন্নকরণ, থানা, ডাকঘর, রেজিস্ট্রি অফিস, রেলস্টেশন দখল ইত্যাদি কর্মসূচিও গ্রহণ করা হয়। আর তাতেই ক্রমে কোণঠাসা হতে থাকে ব্রিটিশরা। এই সময়ে বাংলার মেদিনীপুর জেলায় ভারত ছাড়ো আন্দোলন এক গণবিদ্রোহের রূপ নেয়। জ্বালাময়ী নেত্রীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হন মাতঙ্গিনী হাজরা। আজ ইতিহাসের পাতায় অবিস্মরণীয় তাঁর নাম।

কোন প্রেক্ষাপটে শুরু হয়েছিল ভারত ছাড়ো আন্দোলন

কোন প্রেক্ষাপটে শুরু হয়েছিল ভারত ছাড়ো আন্দোলন

এই ক্ষেত্রে মনে রাখা ভালো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষিতেই প্রথম শুরু হয়েছিল এই আন্দোলন। বিশ্বযুদ্ধ যত এগিয়েছে, নানা আন্দোলনে ততই অশান্ত হয়েছে ভারত। এর আগে আইন অমান্য আন্দোলন, অসহযোগ আন্দোলনের হাত ধরে স্বাধীনতার ধ্বনিতে দীপ্ত হয়ে ভারতীয়দের মন। অন্যদিকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক স্তরে দুর্বল হয়েছে ব্রিটিশরা। আর সেই সঙ্গে নয়া সামরিক নীতির দ্বারা ভারতীয়দের উপর দমন-পীড়ন, নির্যাতনের মাত্রাও বহুগুন বাড়িয়ে দিয়েছিল ব্রিটিশ সরকার। আর তাতেই ভেঙেছিল সহ্যের বাঁধ।

আন্দোলনের আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা দেশেই

আন্দোলনের আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা দেশেই

এদিকে বিশ্ব যুদ্ধের কারণে ব্রিটিশ শাসিত ভারতীয় অর্থ-ব্যবস্থাও সম্পূর্ণ রূপে ভেঙে গিয়েছিল। নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের দাম হয়ে গিয়েছিল আকাশছোঁয়া। অনাহারে দিন কাটাচ্ছিল একটা বড় অংশের মানুষ। দেশজোড়া দারিদ্রে ক্রমেই ডুবে যাচ্ছিল ভারত। আর তারফলেই আগের আন্দোলনগুলি অনেক বেশ শহরমুখী হলেও ভারত ছাড়ো আন্দোলনের আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল দেশের প্রত্যন্ত এলাকা এমনকী গ্রামাঞ্চল গুলিতেও। যদিও এই আন্দোলনের পরেও জয় আসতে লেগেছিল আরও পাঁচ বছরের বেশি সময়।

English summary
quit india movement on 80th anniversary the background of the movement in the pages of history
চটজলদি খবরের আপডেট পান
Enable
x
Notification Settings X
Time Settings
Done
Clear Notification X
Do you want to clear all the notifications from your inbox?
Settings X