বিজেপি সরকারের পতন আসন্ন! কৃষি আইন নিয়ে জোটসঙ্গীর বেসুরো হুঁশিয়ারি
কৃষি আইনের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ইতিমধ্যেই জোট ত্যাগ করেছে বিজেপির পুরোনো জোট সঙ্গী পাঞ্জাবের অকালি দল। রাজস্থানের লোকতান্ত্রিক জনতা দলও নয়া কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে জোট ছাড়ার হুমকি দিয়েছে। এবার হরিয়ানায় বিজেপির জোটসঙ্গী জেজেপিও একই পথে হাঁটতে চলেছে, বলে বাড়ছে জল্পনা।
হরিয়ানায় জেজেপির সমর্থনে সরকার গড়েছিল বিজেপি
হরিয়ানায় জেজেপির সমর্থনে সরকার গড়েছিল বিজেপি। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সেখানে জেজেপি এবার কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে সরব। সে দলের অনেক নেতাই বিজেপির বিরোধিতা করতে শুরু করেছে। হরিয়ানার উপমুখ্যমন্ত্রী দুষ্মন্ত চৌতালা অবশ্য সুর নরম করে কৃষি আইনের মধ্যে ন্যুনতম সমর্থন মূল্যের বিষয়টি যোগ করার দাবি তুলেছেন। তবে কড়া ভাষায় সরব হয়েছেন দুষ্মন্তের ভাই দিগ্বিজয় চৌতালা।
জেজেপির প্রধান অজয় চৌতালা যা বললেন
এদিকে জেজেপির প্রধান অজয় চৌতালাও বলেন, 'সরকারকে আরও বড় মানসিকতার পরিচয় দিয়ে ভাবতে হবে এবং কৃষকদের সমস্যার সমাধান করতে হবে। অন্নদাতারা রাস্তায় কষ্ট পাচ্ছেন। কৃষকদের আশ্বস্ত করতে হবে যে তাঁদের ন্যুনতম সমর্থন মূল্যের ব্যবস্থা আগের মতো বহাল থাকবে। প্রয়োজনে কৃষি আইনে ন্যুনতম সমর্থন মূল্যের কথা উল্লেখ করতে হবে।'
জেজেপির মূল ভোটার বেস হল কৃষক
জেজেপি প্রধান আরও বলেন, 'কেন্দ্র কৃষকদেরকে আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে এবং আমরা চাই যে এর দ্রুত সমাধান হওয়া উচিত। আমরা সরকারের সকলকে অনুরোধ করেছি যে কৃষকদের সমস্যার সমাধান খুঁজে পেতে হবে তাড়াতাড়ি।' উল্লেখ্য, জেজেপির মূল ভোটার বেস হল কৃষকরা। সেই ক্ষেত্রে বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে রেখে এই সময় নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা কমাতে চাইছে না দলের একাংশ।
অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির
হরিয়ানা নির্বাচনের পর শিরমণি অকালি দল জেজেপি এবং বিজেপিকে এক টেবিলে বসায়। কতকটা অকালির পৌরহিত্যেই কংগ্রেস বিরোধী জেজেপি বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে হরিয়ানাতে সরকার গঠন করে। সেখানে এই কৃষি আইনের বিরোধিতায় অকালি বিজেপির সঙ্গ ছেড়েছে। তারপরে জেজেপির উপর চাপ বাড়ে। উল্টে সেই চাপ পড়তে শুরু করে বিজেপির উপর। এই পরিস্থিতি হিরয়ানা পুলিশের উপর ওঠা কৃষক নিগ্রহের অভিযোগ আরও অস্বস্তিতে ফেলেছে গেরুয়া শিবিরকে।
জারি রয়েছে কৃষক আন্দোলন
এদিকে এখনও জোর কদমে জারি রয়েছে কৃষক আন্দোলন। সতর্কতা মেনে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দিল্লির সঙ্গে সংযুক্ত গুরগাঁও এবং ঝাঝর-বাহাদুরগড় বর্ডার। যার জন্য শহরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিটি বর্ডারে প্রচুর সংখ্যায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বহু স্তরীয় ব্যারিকেড রয়েছে। এরই সঙ্গে সিঙ্ঘু এবং টিরকি বর্ডারসহ দিল্লির মোট পাঁচটি বর্ডার পয়েন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
মিলল না সমাধান সূত্র
প্রসঙ্গত, গতকালই কৃষক সংগঠনগুলির সঙ্গে আলোচনায় বসেন তিন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী। তবে কৃষি আইন প্রত্য়াহারের দাবি কেন্দ্রের তরফে খারিজ করে দেওয়া হয়৷ পাশাপাশি আলোচনায় কৃষি আইন নিয়ে কেন্দ্র কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু কৃষক সংগঠনগুলির প্রতিনিধিরা সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। উলটে তাঁরা জানিয়ে দেন, তাঁদের দাবি মানা না হলে এভাবেই চলবে বিক্ষোভ। বৃহস্পতিবার আরও একটি বৈঠক হবে বলে জানা গিয়েছে।
নিজের বাড়িতে অনুগামীদের সঙ্গে বৈঠক শুভেন্দুর, ছন্দপতনের মাঝেই ফের ভাঙনের রেখা তৃণমূলে