মৃত্যুর শংসাপত্রেও প্রধানমন্ত্রীর মুখ ব্যবহার হোক, বিতর্কিত মন্তব্য করে বিপাকে জিতন রাম মাঝি
বিতর্কিত মন্তব্য করে বিপাকে জিতান রাম মাঝি
মৃত্যুর শংসাপত্রেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি বসানো হোক। এমনটাই দাবি তুললেন বিহারে এনডিএর অন্যতম জোটসঙ্গী হিন্দুস্তানী আবাম মোর্চা–সিকুলারের প্রধান জিতন রাম মাঝি। সোমবার তাঁর এই মন্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়ে যায়। তিনি দাবি করেছেন যে ভ্যাকসিনেশন শংসাপত্রের মতো কোভিড–১৯–এ মৃতদের শংসাপত্রেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখ থাকা দরকার, সেখানে কেন তাঁর ছবি নেই? প্রসঙ্গত, ভ্যাকসিনের শংসাপত্রে নরেন্দ্র মোদীর মুখ বসানো নিয়ে এর আগে কম বিতর্ক হয়নি। এখন বিজেপির জোটসঙ্গী হয়ে মাঝির এই মন্তব্য ঘিরে নতুন করে বিতর্ক দানা বাঁধল।
মৃত্যুর শংসাপত্রে প্রধানমন্ত্রীর ছবি
বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী টুইটারে পোস্ট করেন, 'আপনি যদি প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভ্যাকসিন শংসাপত্রে দিতে পছন্দ করেন তাবে তা মৃত্যুর শংসাপত্রেও দেওয়া হোক। তবেই তা ন্যায্য হবে।' যদিও এই পোস্টের কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি তা মুছে দিলেও, ততক্ষণে অনেকেরই নজরে এসা চলে এসেছে। রবিবার এই টুইট মুছে দেওয়ার পরই তিনি আরও একটি টুইট করে জানান যে রাষ্ট্রপতির ছবি লাগালে আরও ভালো হত। ওই একই টুইটে তিনি আরও জানিয়েছেন যে প্রধানমন্ত্রীর পাশে মুখ্যমন্ত্রীর ছবিও ব্যবহার করা যেতে পারে।
দ্বিতীয়বার বিতর্কের শুরু
শংসাপত্রে প্রধানমন্ত্রীর ছবি ব্যবহার করা নিয়ে এটা দ্বিতীয় বিতর্কের শুরু। এই সপ্তাহে ছত্তিশগড়ে ১৮-৪৫ বছরের নাগরিকদের টিকাদানের শংসাপত্রে মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। যেহেতু এই বিভাগের টিকাদানগুলির জন্য রাজ্য অর্থ বহন করছে তাই এই পদক্ষেপকে সমর্থন করেছিল বাঘেলের সরকার।
দলিত–আদিবাসীরা টিকা নিতে ভয় পাচ্ছে
মাঝির পুত্র সন্তোষ মাঝি নীতীশ কুমার শাসিত এনডিএ সরকারের সেচ ও তফশিলি জাতি-উপজাতি কল্যাণ বিভাগের মন্ত্রী। গত বছর বিধানসভা নির্বাচনে হাম-এস সাতটি আসনের মধ্যে চারটে আসনে জয়লাভ করেছিল। হাম-এসের মুখপাত্র দানিশ রিজওয়ান বলেছেন, 'দলিত ও আদিবাসী জনগোষ্ঠীর এক শতাংশও এখনও ভ্যাকসিন নেয়নি কারণ তারা টিকাকরণে ভয় পাচ্ছেন। রাষ্ট্রপতির ছবি শংসাপত্রে থাকলে এই জনগোষ্ঠী অনুপ্রাণিত হবে, কারণ রাষ্ট্রপতিও দলিত সম্প্রদায়ের।'
বিরোধী দলগুলির প্রতিক্রিয়া
মাঝির মুছে দেওয়া টুইট প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) হাম-এসকে এনডিএ জোট ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। আরজেডির মুখপাত্র মৃত্যুঞ্জয় তিওয়ারি বলেন, 'আজকে যে প্রশ্ন তিনি তুলেছেন, একই দাবি তুলেছিলেন বিরোধী দলও। আপনি যদি স্বৈরাচারী ব্যবস্থার বিরুদ্ধে থাকেন তবে এ থেকে বেরিয়ে আসুন অন্যথায় লোকেরা ভাববে যে আপনি খবরে থাকার জন্য বিবৃতি জারি করছেন।' মাঝির টুইট ঘিরে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন জনতা দল (একতা) রাজ্য সভাপতি উমেশ খুশওয়াহা। তিনি জানিয়েছেন যে গণতন্ত্রে প্রত্যেকেই মতামত সামনে রাখার অধিকার রয়েছে।
টুলকিট মামলায় হস্তক্ষেপ করতে পারে আমেরিকা, পুলিশি হানার পর জল গড়িয়েছে টুইটারের সদর দফতরেও