এবারও কি উৎসবে কাঁটা হবে করোনা, পুরীর রথযাত্রার আয়োজনে ছায়া কি পড়বে দুর্গাপুজোতেও
এবারও কি উৎসবে কাঁটা হবে করোনা, পুরীর রথযাত্রার আয়োজনে ছায়া কি পড়বে দুর্গাপুজোতেও
এবারও পুরীর রথ যাত্রায় করোনার কোপ। গতবারের মতোই ভক্তদের ছাড়াই হবে অনুষ্ঠান। এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পুরীর রথযাত্রার এই বিধিনিষেধের পরেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে বাঙালি। তাহলে কী গতবারের মতো এবারও দুর্গাপুজো ঘরে বসেই কাটাতে হবে। কারণ বর্ষা পড়তেই শুরু হয়ে যায় দুর্গাপুজোর তোরজোর। কিন্তু এবার এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও তোরজোর দেখা যায়নি। গতবার হাইকোর্টের নির্দেশে ঘরে বসেই ঠাকুর দেখেছিল বাঙালি। রথ যাত্রার নিয়ম প্রকাশ্যে আসার পরেই ফের উদ্বেগের মেঘ দেখা দিয়েছে।
এবারও রথে করোনার কোপ
বর্ষা আসতেই উৎসবের পথে গুটি গুটি পায়ে এগোতে শুরু করে বাঙালি। সূচনাটা হয় রথ যাত্রা দিয়ে। কিন্তু এবারও রথ যাত্রায় করোনার থাবা পড়েছে। গতবার করোনার কারণে ভক্তদের ছাড়াই হয়েছে পুরীর রথ যাত্রা। সেইমতো বাতিল করা হয় রাজ্যের বড় বড় রথ গুলি মাহেশের রথও। বৃহস্পতিবার ওড়িশা সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে। কোনও রকম ভক্ত সমাগম ছাড়াই এবারের রথ যাত্রা করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের বেধে দেওয়া গাইডলাইন মেনেই হবে এবারের রথযাত্রা। এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ
গতবার সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল পুরীর রথ যাত্রা হবে ঠিকই কিন্তু তাতে কোনও ভক্ত যোগ দিতে পারবেন না। সেই নির্দেশ যাতে কার্যকর হয় তার জন্য ওড়িশা সরকারকে সবরকম পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছিল। রথ যাত্রায় যাতে কেউ যোগ দিতে না পারেন সেকারণে পুরীগামী একাধিক ট্রেন কয়েকদিনের জন্য বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল। কেবল মাত্র সেবাইতদের নিয়েই হয় রথযাত্রা অনুষ্ঠান। তবে ওড়িশা সরকার ভক্তদের জন্য টেলিভিশনে ব্রডকান্টের অনুমতি দিয়েছিল।
কড়া নিরাপত্তায় রথ যাত্রা
রথ যাত্রা উৎসবের দিন পুরী জুড়ে থাকবে কার্ফু জারি। করোনা নেগেটিভ এবং দুটি ডোজের টিকা নেওয়া সেবাইত এবং পুলিশ কর্মীরা থাকতে পারবেন। ৫০০ জনের বেশি রথের রশিটানায় অংশ নিতে পারবেন না। যাঁরা অংশ নেবেন তাঁদের সকলকে আগে থেকে কোভিড নেগেটিভ এবং টিকাকরণের রিপোর্ট দেখিয়ে অনুমতি নিতে হবে।
উৎসবে করোনা কাঁটা
পুরীর রথ যাত্রা ফের কোভিড বিধি বহাল হওয়ায় সিঁদুরে মেঘ দেখছে বাংলা। এবারও কী তাহলে দুর্গাপুজো ঘরে বসে কাটাতে হবে। গতবার সব প্রস্তুতির পরেও শেষ পর্যন্ত হাইকোর্টের নির্দেশে ঘরে বসেই কাটাতে হয়েছিল দুর্গাপুজোয়। মণ্ডপে দর্শনার্থীদের প্রবেশের অনুমতি ছিল না।এমনকী পুজো দেওয়ার ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। যার জেরে বাঙলার মানুষ ঘরে বসেই কাটিয়েছিলেন দুর্গাপুজো।