কয়লা সংকটে বিদ্যুৎ বিপর্যয়! সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে পাঞ্জাবে
কয়লা সংকটে বিদ্যুৎ বিপর্যয়! সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে পাঞ্জাবে
উৎসবের মধ্যে কয়লা উৎপাদনে ঘাটতি গোটা দেশে। যার জেরে প্রবল বিদ্যুৎ সংকটের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। যেকোনও মুহূর্তে গোটা দেশ ব্ল্যাক আউট হয়ে যেতে পারে এমনই আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে পাঞ্জাবে। এমনই দাবি করা হয়েছে। ১১ অক্টোবর পর্যন্ত ২৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি ছিল সেখানে। মঙ্গলবার থেকেই লোডশেডিং শুরু হয়ে গিয়েছে পাঞ্জাবে। ৪ থেকে ৭ ঘণ্টা করে লোডশেডিং শুরু হয়ে গিয়েছে।
পাঞ্জাবে মোট ১১,০৪৬ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু তার জায়গায় পাওয়া যাচ্ছে ৮,৭৫১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। কাজেই ঘাটতি দেখা দিয়েছে ২,২৯৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে। পাঞ্জাবের মত পাশের রাজ্য হরিয়ানাতেও বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। হরিয়ানাতে ৮৩৮২ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়। সেখানে এখন ৮,৩১৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে। কাজেই ৬৩ মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। এদিকে আবার উত্তর ভারতের আরেক রাজ্য রাজস্থানে ১২,৫৩৪ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়। ১২,২৬২ মেগাওয়াট বিদ্যুত পাওয়া যাচ্ছে। ২৭২ মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে।
দিল্লিতে এখনও পর্যন্ত বিদ্যুতের ঘাটতি তৈরি হয়নি। উত্তর প্রদেশেও ৮৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি রয়েছে। একই অবস্থা হিমাচল প্রদেশেরও । সেখানেও বিদ্যুতের ঘাটতি তৈরি হয়নি। জম্মু এবং কাশ্মীরে আবার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি রয়েছে। কাজেই উত্তর ভারতের রাজ্যগুলির মধ্যে সর্বাধিক ঘাটতি রয়েছে পাঞ্জাবে। যদিও পাঞ্জাবের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি নিয়মিত বরাদ্দ কয়লা পাচ্ছে। ৩০ থেকে ৪০ দিনের বিদ্যুৎ উৎপাদন করার মত কয়লা মজুত রয়েছে পাঞ্জাবে এমনই দাবি করেছে রাজ্যের বিদ্যুৎ দফতরের অধিকর্তারা। তারপরেই বিদ্যুতের এই ঘাটতি তৈরি হচ্ছে।
সামনেই আবার উৎসবের মরশুম, দীপাবলি শুরু হয়ে যাবে কয়েকদিন পরেই। আবার রয়েছে গরওয়াচৌথ। কাজেই বিদ্যুতের চাহিদা আরও বাড়বে সেসময়। তখন আরও ঘাটতি তৈরি হবে পাঞ্জাবে। লোডশেডিংয়ের পরিমান আরও বা়ড়তে শুরু করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে করোনার কারণে েখন সবটাই ভার্চুয়াল। অফিস থেকে অনলাইনের কেনাকাটা, আর্থিক লেনদেন সবটাই হচ্ছে ভার্চুয়াল। তাতে লোডশেডিং বাড়লে সমস্যা বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গোটা দেশেই বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা দিয়েছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়েছে। েদশে যেকোনও মুহূর্তে ব্ল্যাক আউট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গোটা দেশেই এই পরিস্থিতি তৈরি হতে চলেছে। এর জন্য রাজ্যগুলিকে দায়ী করেছে মোদী সরকার।