লকডাউনকে উপেক্ষা, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে পাঞ্জাবই প্রথম জারি করল কার্ফু
লকডাউনকে উপেক্ষা, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে পাঞ্জাবই প্রথম জারি করল কার্ফু
করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় শেষে কার্ফু জারি করতে বাধ্য হল পাঞ্জাবের অমরিন্দর সরকার। কারণ লকডাউন ঘোষণা করার পরেও পাঞ্জাবের বাসিন্দারা বাড়ির বাইরে বেরোন বন্ধ করছিলেন না। তাই কোনও উপায় না দেখেই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে কার্ফু জারি করে অমরিন্দর সরকার। দেশের অধিকাংশ রাজ্যে লকডাউন ঘোষণার পর তাই কেন্দ্রের পক্ষ থেকেও লকডাউন রক্ষাই আইনপদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পাঞ্জাবে কার্ফু জাির
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রুখতে পাঞ্জাবে জারি করা হয়েছে কার্ফু। কারণ লকডাউন ঘোষণার পরেও রাজ্যের মানুষ কিছুতেই তা মানছিলেন না। রাস্তায় বেরিয়ে পড়ছিলেন তাঁরা। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পরেই রাজ্যের মুখ্যসচিব, ডিজিপির সঙ্গে আলোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। তারপরেই বাধ্য হন কার্ফু ঘোষণা করতে।
লকডাউন উপেক্ষা
একদিনের জনতা কার্ফু সফল হলেও। অনেকেই এখনও বুঝতে পারছেন না লকাউনের গুরুত্ব। তাই লকডাউন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই বাজারে হুড়েহুড়ি, ভিড় শুরু হয়ে গিয়েছে। ঠাসাঠািস করে মুদির দোকান, সবজির দোকান, চালের দোকানে ভিড় করতে শুরু করেছেন সকলে। জনতা কার্ফুর দিনেও একাধিক জায়গায় রাস্তায় ক্রিকেট খেলতে দেখা গিয়েছে। আবার জনতা কার্ফুর শেষ হতেই পাড়ার চায়ের দোকানে গাদাগাদি করে আড্ডা দিয়ে দেখা গিয়েছে অনেককেই। এই ভাবে চলতে থাকলে লকডাউনের আসন উদ্দেশ্যই পূরণ হবে না। কারণ তার আগেই মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে করোনা ভাইরাস।
কার্ফুই একমাত্র পথ
কার্ফু জারি করা ছাড়া উপায় ছিল না , জানিয়েছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। তিনি জানিয়েছেন কিছুতেই মানুষ বাড়ির ভিতরে থাকার গুরুত্ব বুঝতে পারছিলেন না। সেকারণেই এই কড়া পদক্ষেপ করতে হয়েছে। রাস্তা ঘাটে, পাড়ার মোড়ে মোড়ে ছুটির মেজাজে বেরিয়ে পড়ছিলেন রাজ্যবাসী। সেকারণেই কেন্দ্রীয় সরকার ৭৫টি জেলায় লকডাউন ঘোষণার পাশাপাশি তা রক্ষা করার জন্য রাজ্য সরকারগুলিকে আইনি পদক্ষেপও নিতে বলেছে।