নয়া কৃষি বিলের প্রতিবাদে ফুঁসছে পাঞ্জাব-হরিয়ানা, ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ল ‘রেল রোকো’ কর্মসূচি
নয়া কৃষি বিলের প্রতিবাদে ক্রমেই উত্তাল হচ্ছে গোটা দেশ। রাস্তায় নেমেছেন পাঞ্জাব, হরিয়ানার বড় অংশের কৃষকের দল। ইতিমধ্যেই এই বিতর্কিত কৃষি বিলের প্রতিবাদে ২৫শে সেপ্টেম্বর ভারত বন্ধে সামিল হয় বিভিন্ন কৃষক সংগঠনের যৌথ মঞ্চ কিষাণ সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি। এরই মধ্যে ২৯শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পাঞ্জাবে বাড়ানো হল রেল রোকো কর্মসূচি।
২৯ সেপ্টেম্বর বাড়ানো হল পাঞ্জাবের রেল রোকো কর্মসূচি
কৃষি বিলের প্রতিবাদে সর্বাত্ম বিক্ষোভ দেখা গেছে গোটা পাঞ্জাবেই। রাজ্যের প্রতিটা কোণা থেকেই গতকালের ধর্মঘটে ব্যাপক সারা মিলেছে। এরইমাঝে তিন দিনের যে রেল রোকো কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল তা ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল কিষাণ মজদুর সংঘর্ষ কমিটি। এমতাবস্থায় ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পাঞ্জাবের একাধিক রুটে ১৪ জোড়া বিশেষ ট্রেন বাতিল করেছে ভারতীয় রেল।
পাঞ্জাব-হরিয়ানার বিভিন্ন জায়গাতেই চাক্কাজ্যাম, রেল রোকো কর্মসূচি
পাঞ্জাব ও হরিয়ানার বিভিন্ন জায়গাতেই চলছে ‘চাক্কাজ্যাম, রেল রোকো কর্মসূচি। এদিকে বিলের প্রতিবাদে গতকালের ধর্মঘটের শুরুতেই চণ্ডীগড়-আম্বালা হাইওয়ে অবরোধ করতে দেখা যায় বিক্ষুব্ধ চাষীদের। বনধের দিন অনেক জায়গাতেই কৃষকদের ট্রাক্টর নিয়ে রাস্তা অবরোধ করতে দেখা যায়। এদিকে করম সিং বড়োলির নেতৃত্বে ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের দুশোর বেশি কৃষক ভঙ্করপুরের কাছে চণ্ডীগড়-আম্বালা হাইওয়েতে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়।
পাঞ্জাবের একাধিক জায়গায় আন্দোলেন নেতৃত্বে অকালি দল-কংগ্রেস
এদিকে পাঞ্জাবের একাধিক জায়গায় কৃষক আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতে দেখা যায় বিজেপির জোটসঙ্গী আকালি দলের প্রধান সুখবীর সিং বাদল ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরসিমরত কৌর বাদলকে। এদিকে হান্দেসারাতেও প্রায় ৮০ জন কৃষককে হাইওয়ে অবরোধ করতে দেখা যায়। অন্যদিকে কৃষি বিলকে হাতিয়ার করে বিজেপিকে কোণঠাসা করতে কোমড় বেঁধে মাঠে নামে কংগ্রেসও। রাস্তায় দেখা গেছে পাঞ্জাবের মোট ৩১টি কৃষক সংগঠনের সদস্যদের।
ভগৎ সিংহর জন্মবার্ষিকীতে আরও জোরদার আন্দোলনের প্রস্তুতি
শনিবার সকাল থেকেই অমৃতসরের একাধিক জায়গায় এই বিলের প্রতিবাদী বড়সড় জমায়েত করে কিষাণ মজদুর সংঘর্ষ কমিটি। একইসাথে সোমবার ভগৎ সিংহর জন্মবার্ষিকীর দিন গোটা পাঞ্জাবেই এই আন্দোলন আরও জোরদার হবে বলে মনে করা হচ্ছে। আন্দোলনে যোগ দিতে চলেছেন একাধিক বামপন্থী যুব সংগঠনের সদস্যরা।