সীমান্তে বিএসএফের ক্ষমতা বৃদ্ধি! মমতার পাশে দাঁড়িয়ে এবার সুপ্রিমো কোর্টে মামলা পঞ্জাব সরকারের
সীমান্তে বিএসএফের ক্ষমতা বৃদ্ধি! মমতার পাশে দাঁড়িয়ে এবার সুপ্রিমো কোর্টে মামলা পঞ্জাব সরকারের
গত মাসখানেক আগেই বিএসএফের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে কেন্দ্র। নয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সীমান্ত থেকে ৫০ কিমি পর্যন্ত ভিতরে যেতে পারবে বাহিনী। শুধু যেতে পারা নয়, তল্লাশি সহ একাধিক পদক্ষেপও নিতে পারবে। পঞ্জাব, পশ্চিমবঙ্গ সহ আরও কয়েকটি রাজ্যের ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের। আর তাতেই আপত্তি পঞ্জাব এবং পশ্চিমবঙ্গের। ইতিমধ্যে এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্রুত এই সিদ্ধান্ত বিবেচনা করার দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু এই বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
বিএসএফের ক্ষমতাবৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানাতে চলেছে পঞ্জাব সরকার। বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে কংগ্রেসী এই সরকার। ইতিমধ্যে মামলা দায়ের হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আগামী চার সপ্তাহ পর ফের এই মামলার শুনানি হবে বলে জানা যাচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হতে পারে। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এই সাহসী সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্যে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সিধু। এই মুহূর্তে পঞ্জাব কংগ্রেসের প্রধান হিসাবে রয়েছেন তিনি। ফলে সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মাস্টারস্ট্রোকে খুশি সিধু। আর এহেন সিদ্ধান্তের পরেই টুইটারে সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে টুইট করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
সেখানে তিনি লেখেন, বিএসএফের ক্ষমতাবৃদ্ধি নিয়ে যে সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের তাকে চ্যালেঞ্জ করার সাহস দেখানোর জন্যে শুভেচ্ছা। উল্লেখ্য, গত ১১ অক্টোবর পঞ্জাব, পশ্চিমবঙ্গ এবং অসমে বিএসএফের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে মন্ত্রক। আগে সীমান্ত থেকে ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বিএসএফের নজরদারি চালানোর ক্ষমতা ছিল। কিন্তু নয়া বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী এবার থেকে সীমান্ত থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিএসএফকে একাধিক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। আর এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ১২ নভেম্বর পঞ্জাব বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ হয়।
একই পথে হাটে পশ্চিমবঙ্গও। তাঁরাও ইতিমধ্যে রাজ্য বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ করেছে। তৃণমূলের দাবি, কেন্দ্র বিএসএফের ক্ষমতা বাড়িয়ে পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে নষ্ট করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এই বিষয়ে তৃণমূলের তরফে লাগাতার আন্দোলন চলবে বলে স্পষ্ট করে দিয়েছেন। র তা নিয়ে নতুন সংঘাত তৈরি হয়েছে। আর তা হয়েছে রাজ্যপাল ধনখড়ের সঙ্গে রাজ্য প্রশাসনের।
সম্প্রতি প্রশাসনিক বৈঠক থেকে বিএসএফকে সতর্ক করেছেন প্রশাসনিক প্রধান। শুধু তাই নয়, বলেন, বিএসএফ গ্রামে ঢুকে অত্যাচার করছে। এই বিষয়ে খোঁজ পেলেই রাজ্য পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার বার্তা দেন। শুধু তাই নয়, বিএসএফ এক্তিয়ারভির্ভুত কাজ করলে রুখে দেওয়ারও কথা বলেন। আর তা নিয়েই নতুন করে সংঘাত। রাজ্যপালের দাবি, অপমান করা হচ্ছে। একই দাবি করা হয়েছে বিজেপির তরফেও।