কৃষক আন্দোলনে ২২০ জনের মৃত্যু হয়েছে, মোদী সরকারের অস্বস্তি বাড়াল পাঞ্জাব সরকারের রিপোর্ট
কৃষক আন্দোলনে ২২০ জনের মৃত্যু হয়েছে, মোদী সরকারের অস্বস্তি বাড়াল পাঞ্জাব সরকারের রিপোর্ট
কৃষক আন্দোলনে কারোর মৃত্যু হয়নি এমনই দাবি করেছিল মোদী সরকার। কিন্তু পাঞ্জাব সরকারের রিপোর্ট বলছে কৃষক আন্দোলনে ভারতে ২২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এবং সেই পরিবারগুলিকে সরকার ক্ষতিপূরণও দিয়েছে মোট ১০.৮৬ কোটি টাকা। মোদী সরকারের রীতিমতো অস্বস্তি বাড়িয়েছে এই রিপোর্ট।
কী বলছে পাঞ্জাব সরকারের রিপোর্ট
কৃষি আইনের প্রতিবাদে গত ১ বছর ধরে চলছে আন্দোলন। দিল্লির িসংঘু সীমান্তে চলছে অবস্থান বিক্ষোভ। ঝড়,জল, করোনা সংক্রমণের মাঝেই নিজেদের আন্দোলন জারি রেখেছেন তাঁরা। মোদী সরকার দাবি করেছিল কৃষক আন্দোলনে কারোর মৃত্যু হয়নি। কিন্তু পাঞ্জাবের অমরিন্দর সরকার যা রিপোর্ট পেশ করেছে তাতে রীতিমত অস্বস্তিতে পড়েছে মোদী সরকার।
২২০ জনের মৃত্যু
পাঞ্জাবের অমরিন্দর সরকারের রিপোর্টে বলা হয়েছে মোট ২২০ জন কৃষক এবং কৃষি শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে কৃষক আন্দোলন চলাকালীন। জুলাই মাস পর্যন্ত পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে। ২২০ জনের মধ্যে ২০৩ জন পাঞ্জাবের মালওয়া প্রদেশের। ১১ জন মাঝার এবং ৬ জন দেওবা অঞ্চলের। এখনও তথ্য সংগ্রহ চলছে বলে জানিেয়ছে অমরিন্দর সরকার। এদিকে মোদী সরকার দাবি করেছে কৃষক বিক্ষোভে একজন কৃষকেরও মৃত্যু হয়নি।
কোথায় মৃত্যু বেশি
পাঞ্জাব সরকারের রিপোর্ট বলছে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে সঙ্গরুর জেলায়। সেখানে গত ৮ মাসে ৪৩িট মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। যতজনের মৃত্যু হয়েছে সকলের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক জেলায় মোট ২.১৩ কোটি টাকা করে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। তারপরেই রয়েছে ভাতিন্ডা জেলা। সেখানে ৩৩ জন কৃষকের মৃত্যু হয়েছে কৃষক বিক্ষোভে। সেই জেলায় সরকার মোট ১.৬৫ কোটি টাকা আর্থিক সাহায্য করেছে।
আর কোথায় মৃত্যু
এই দুটি জেলা ছাড়াও পাঞ্জাবের একাধিক জেলায় কৃষকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। মোগায় ২৭, পািতয়ালায় ২৫, বারনালায় ১৭, মানসায় ১৫, মুকতাসার সাহিবে ১৪, লুধিয়ানায় ১৩ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া ফাজিলকা, ফিরোজপুর, গুরুদাসপুরো যথাক্রমে ৭, ৬ এবং ৫ জন কৃষকের মৃত্যু বয়েছে। অমৃতসর, নাওয়ানশহরে চার জন এবং মোহালি, তরন-তারনে ৩ জন ও ২ জন করে মৃত্যু হয়েছে। জলন্ধর, কপুরতলাতেও একজন করে কৃষকদের মৃত্যু হয়েছে।