Punjab election 2022: ৪৬ বছরের সম্পর্ক, ভোটের ঠিক আগেই কংগ্রেস ছাড়লেন অশ্বিনী কুমার
Punjab election 2022: ৪৬ বছরের সম্পর্ক, ভোটের ঠিক আগেই কংগ্রেস ছাড়লেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী কুমার
বিধানসভা ভোেটর ঠিক আগেই পাঞ্জাব কংগ্রেসে সংকট বাড়িয়ে দল ছাড়লেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী কুমার। সোনিয়া গান্ধীকে পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি। পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে তিনি দলে বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। নিজের সম্মান ধরে রাখতেই তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত বলে জানিেয়ছেন তিনি। এদিকে জানিয়েছেন পরের সপ্তাহেই পাঞ্জাবে বিধানসভা ভোট।
দল ছাড়লেন অশ্বিনী কুমার
ভোটের ঠিক আগেই কংগ্রেসে ভাঙন পাঞ্জাবে। কংগ্রেস ছাড়লেন প্রবীণ নেতা অশ্বিনী কুমার। ৪৬ বছর ধরে কংগ্রেসের সদস্য ছিলেন তিনি। ঠিক ভোটের কয়েকদিন আগেই দল ছাড়লেন তিনি। এক সময়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীত্বও সামলছিলেন তিনি। অশ্বিনী কুমার কংগ্রেসের শক্তিশালী নেতা ছিলেন তিনি। প্রথম থেকেই পাঞ্জাবে কংগ্রেসের অন্দরে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছিল। অমরিন্দর সিংকে পদ থেকে সরানোয় তিনি কংগ্রেস ছেড়ে নিজের আলাদা দল গড়েছেন। সেই সঙ্গে আবার বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন।
কেন পদত্যাগ
সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখে নিজের পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন অশ্বিনী কুমার। তিনি চিঠিতে লিখেছেন, নিজের সম্মান বাঁচিয়ে রাখতেই তিনি দলের সঙ্গে ৪৬ বছরের সম্পর্কের অবসান ঘটাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন এখন কংগ্রেসের যা অবস্থা তাতে নিজের সম্মান রক্ষা করা সবার আগে দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। সেকারণেই এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা। হঠাৎ করে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং দলের প্রবীণ নেতার পদত্যাগে কংগ্রেসের অন্দরের দ্বন্দ্ব আরও প্রকট হয়ে উঠেছে।
দল ছাড়ার কারণ কী
দল ছাড়ার কারণ কী সেটা তিনি কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখে জানিয়ে দিয়েছেন। চিঠিতে কংগ্রেস নেতা লিখেছেন দলে যেভাবে নেতৃত্বের বদল হচ্ছে এই সময়ে তাঁর উচিত সম্মান নিয়ে নিজে থেকেই সরে যাওয়া। কংগ্রেস নেতার এই চিঠি প্রকাশ্যে আসার পরেই পাঞ্জাব কংগ্রেসে দলের অন্দরের দ্বন্দ্ব আরও প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। এদিকে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি ভোট পাঞ্জাবে। তার আগে কংগ্রেস নেতাদের এই দ্বন্দ্ব সংকট বাড়াবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
চান্নি-সিধু বিবাদ
অমরিন্দর সিং দল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর সিধুর সঙ্গে চান্নির সম পার্থক্য প্রকট হতে শুরু করে। চান্নি তাঁর মন্ত্রিসভায় সিধুর ঘনিষ্ঠদের থাকতে দিচ্ছেন না বলে প্রকাশ্যে অভিযোগ করেছিলেন পাঞ্জাব কংগ্রেসের সভাপতি। সেই সঙ্গে চান্নিকে মুখ্যমন্ত্রী মুখ করায় একটু ক্ষুব্ধই হয়েছেন সিধু। তিনি প্রকাশ্যে চান্নির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। আবার সিধু নিজেদে সর্বময় কর্তা বলে দাবি করে চলেছে এই নিয়ে দুই নেতার মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকট হয়ে উঠেছে।এদিকে আবার টিকিট বিলি নিয়েও সিধুর সঙ্গে বিবাদ তৈরি হয়েছে একাধিক কংগ্রেস নেতার।