দেশে শান্তি বজায় রাখতে অবিলম্বে বাতিল হোক নাগরিকত্ব সংশোধন আইন, দাবি পাঞ্জাব মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দরের
সদ্য পাশ হওয়া নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বাতিল করুক কেন্দ্র। আজ এই দাবি করেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং।
সদ্য পাশ হওয়া নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ২০১৯ বাতিল করুক কেন্দ্র। আজ এই দাবি করেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। পাশাপাশি দিল্লির পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও আবেদন জানান তিনি।
|
অমরিন্দর সিংয়ের টুইট বার্তা
অমরিন্দর সিং এই বিষয়ে একটি টুইট বার্তায় লেখেন, 'সিএবি বিরোধী বিক্ষোভের প্রেক্ষিতে দিল্লি থেকে পাওয়া খবরে আমি শঙ্কিত। আমি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের কাছে আবেদন করছি যাতে তাঁরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সবরকম প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেন। এই আগুন ছড়াতে যেন না দেওয়া হয়।' তাঁর আরও দাবি, দেশে শান্তি বজায় রাখতে অবিলম্বে বাতিল করা হোক এই আইন।
পাঞ্জাবে লাগু হবে না এই আইন
এর আগে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর রাজ্যে তিনি কিছুতেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল লাগু করবেন না। তাঁর রাজ্যের বিধানসভায় যাতে এই বিল পাশ না হয় তার সম্পূর্ণ বন্দোবস্ত করতে শুরু করেছে পাঞ্জাবের কংগ্রেসস সরকার। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর মতে, এই বিল ভারতের নিরপেক্ষ চরিত্রকে আঘাত করে।
দিল্লিতে বিক্ষোভের ঘটনা
এদিকে রবিবার নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে উত্তপ্ত হয় দিল্লির জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকা। এমন কী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে ছুকে ছাত্রদেরকে বেধরক মারে পুলিশ, এমনই অভিযোগ করা হচ্ছে ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষের থেকে। জানা যাচ্ছে ঘটনায় বেশ কয়েকজন পড়ুয়া গুরুতর চোট পেয়েছেন। পড়ুয়াদের অভিযোগ পুলুশি বর্বরতায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত একজন ছাত্রও।
হিংসার ঘটনা দিল্লিতে
সদ্য পাশ হওয়া সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে সোমবার ব্যাপক বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা। এই বিক্ষোভকে ছত্রভঙ্গ করতে দিল্লির জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে পড়ে দিল্লি পুলিশ বাহিনী। পুলিশ বাহিনী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে ও লাঠি চার্জ করে। তার আগে সরাই জুলেইনা ও মথুরা রোডে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। পুলিশের বক্তব্য চারটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা।
পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন
এদিকে জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে এই নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন সিপিআই সাংসদ ডি রাজা। আদালতে যআওয়ার কথা বলেছেন কংগ্রেস নেতা সালমান খুরশিদও। বেশ কিছু ভাইরাল ভিডিওয় উঠে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ঢুকে ছাত্রছাত্রীদের উপরে পুলিশের মারধরের কিছু দৃশ্য। যদিও সেই ভিডিওগুলির সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। এই উত্তেজনার জেরে সোমবার সন্ধ্যা থেকে প্রগতি ময়দান, দিল্লি গেট, আইটিও এবং আইআইটি মেট্রো স্টেশনের ঢোকা ও বেরোনোর গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়।
নাগরিকত্ব আইন নিয়ে দেশব্যাপী সচেতনতা প্রচার শুরু করবে বিজেপি! পশ্চিমবঙ্গে শুরু ২৩ ডিসেম্বর