লকডাউনের প্রভাবে পাঞ্জাব–চণ্ডীগড়ে বাতাসের মান উন্নত হয়েছে
লকডাউনের প্রভাবে পাঞ্জাব–চণ্ডীগড়ে বাতাসের মান উন্নত হয়েছে
এই প্রথমবার গত দশ বছরে পাঞ্জাব ও চণ্ডীগড়ের বায়ুর গুণগত সূচকের উন্নতি হয়েছে, যা ৩৪–এর কমে রয়েছে। একিউআই স্তরটি মাত্র ১৭ ছিল বলে সারাদেশের ১০১ টি শহরের মধ্যে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটিও পরিষ্কার বাতাস পেয়েছিল।
দশ বছরে এই প্রথম বাতাসের মান উন্নত হয়েছে
যানের গতি একেবারে কমে যাওয়ার ফলে বাতাসের গুণগত মানের উন্নতি হয়েছে। বন্য প্রাণীরা তাদের আবাসস্থল থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। সোমবার চণ্ডীগড়ে এক চিতাবাঘকে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায় পরে তাকে ধরে ফেলে বন্যপ্রাণী সংগঠনের কর্মীরা। এমনকী হরিণ ও ময়ূরদেরও জঙ্গলের বাইরে চলে আসতে দেখা যায়। এছাড়াও চণ্ডীগড়বাসী এই কয়েকদিনে বহু পাখির ডাকের সাক্ষী হয়ে রইলেন। পাঞ্জাব দূষণ বোর্ডের সদস্য সম্পাদক করুনেশ গর্গ বলেন, ‘গোটা রাজ্যের বাতাসের গুণগত মান ভালো। গত দশ বছরে এটি প্রথমবার হয়েছে। এ ধরনের বাতাস সাধারণত আগস্ট বা সেপ্টেম্বরে এক বা দু'দিনের জন্য দেখা যায়।' তিনি আরও বলেন, ‘লকডাউনের সময় রাস্তায় কোনও গাড়িও নেই, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ও লনির্মাণ কাজও বন্ধ রয়েছে এবং কোনও জৈবতেলও পুড়ছে না, যার জন্য রাজ্যের প্রধান শহর ও নগরগুলিতে বাতাসের মান অনেক উন্নত হয়ে গিয়েছে।'
উন্নত হয়েছে বাতাসের মান
পাঞ্জাব দূষণ বোর্ডের পক্ষ থেকে বিভিন্ন শহরের একিউআই প্রকাশ করা হয়েছে। অমৃতসর-৬৩, লুধিয়ানা-২৭, মান্দি গোবিন্দগড়-২৮, পাতিয়ালা-২৫, জলন্ধর-৩২, খান্না-২৯। গত বছর ২৯ মার্চ গোটা রাজ্যের একিউআই ছিল ১৩৪ অমৃতসরে ১৩৯, লুধিয়ানাতে ৬৭ ও মান্দি গোবিন্দগড়ে ১৮৩, পাতিয়ালায় ১৫৮, জলন্ধরে ১৬৩ ও খান্নায় ৯৩। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের অন্তর্গত ‘সমীর' অ্যাপের তথ্য অনুযায়ী চণ্ডীগড়ের একিউআই স্তর ১৭ আছে। চণ্ডীগড় দূষণ নিয়ন্ত্রণ কমিটির সদস্য সম্পাদক টিসি নউটিয়াল জানিয়েছেন এটা বোধহয় প্রথমবার যখন এই শহরের বাতামের মান এত উন্নত।
চণ্ডীগড়ের রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে পশু–পাখি
সূত্রের খবর, সোমবার সকাল আটটায়, চণ্ডীগড়ের সেক্টর ফাইভে এক চিতাবাঘকে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। শীঘ্রই পুলিশ ও বন্যপ্রাণী বিভাগকে এ বিষয়ে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ কন্ট্রোল রুম (পিআরসি) গাড়ি সেক্টর ফাইভে শীঘ্রই চলে আসে এবং চিতাবাঘ সম্পর্কে সচেতন করে নাগরিকদের। এরপর চিতাবাঘটিকে দুপুরেই ধরে ফেলে বন্যপ্রাণী বিভাগ। বন বিভাগের এখ অদিকর্তা আবদুল কায়াম বলেন, ‘আমাদের প্রাণীটিকে ধরতে ট্রানকিলাইজার ব্যবহার করতে হয়েছিল। আমরা এখন চিতাবাঘ কোথা থেকে এসেছিল সেই রুটটি খোঁজার চেষ্টা করছি।' এর দু'দিন আগে শহরের সেক্টর ৯ ও সেক্টর ১০-এর মাঝের জেব্রা ক্রসিংয়ে এক সম্বার হরিণ দেখা দেয়। পাঞ্জাবের বন্য প্রাণী সংরক্ষণের প্রধান কুলদীব কুমার বলেন, ‘শেষ দু'দিনে ময়ূর আমার সরকারি বাসভবনের পেছনের দিকে ঘুরছিল। দূষণ কমে যাওয়ার ফলে প্রচুর পাখির ডাক শোনা যাচ্ছিল।'