এবার পাঞ্জাবে ভোট ময়দানে কৃষকরা, আপের সঙ্গে জোট গড়ল ২৫টি কৃষক সংগঠন
কৃষি আইন বাতিল করেও কৃষকদের মন পেলেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাঞ্জাবের ভোটের ময়দানে নামছে ২৫টি কৃষক সংগঠন। বিজেপি নয় তাঁরা জোট গড়েছেন আমআদমি পার্টির সঙ্গে। এই তিন কৃষক সংগঠন আবার সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার সহযোগী বলে জানা গিয়েছে। কাজেই কৃষি আইন বাতিল করে অমরিন্দর সিংয়ের সমর্থন আদালয় করতে পারলেও কৃষকদের তেমন সমর্থন এখনও পায়নি বিজেপি।

ভোটে নামছে কৃষকরা
পাঞ্জাবের ভোট ময়দানে এবার সামিল হতে চলেছে কৃষকরাও। সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার ২৫টি কৃষক সংগঠন ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও একক ভাবে নয় তাঁরা ভোটে লড়বে আমআদমি পার্টির সঙ্গে জোট গড়ে। ৩২িট কৃষক সংগঠন নিয়ে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা তৈরি হয়েছিল। তার মধ্যে ৭টি কৃষক সংগঠন ভোট থেকে আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাকি ২৫টি কৃষক সংগঠন ভোট ময়দানে নামতে চলেছে বলে সূত্রের খবর। গতকালই লুধিয়ানায় চূড়ান্ত হয়েছে সিদ্ধান্ত। শনিবারই তারা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবে বলে জানা গিয়েছে।

কারা লড়ছে না ভোটে
৭টি সংগঠন বিরত থাকছে নির্বাচন থেকে তারা হল কীর্তি কিষাণ ইউনিয়ন, ক্রান্তিকারী কিষাণ ইউনিয়ন, বিকেইউ ক্রান্তিকারী, দোয়াবা সংঘর্ষ কমিটি, বিকেইউ সিধুপুর, কিষাণ সংঘর্ষ কমিটি এবং জয় কিষাণ আন্দোলন। এই সাতটি কৃষক সংগঠন সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার ব্যানারেই কৃষি আন্দোলনে সামিল হয়েছিল। তারা ভোটে না লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাকি ২৫টি সংগঠন এই ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

আপের সঙ্গে বৈঠক
এই নিয়ে আপের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে। দুই পক্ষই জোট বাঁধার সিদ্ধান্তের পথে এগোতে চাইছে। পাঞ্জাবের বিধানসভা ভোটে বড় ফ্যাক্টর কৃষকরাই। সেকারণেই তড়িঘড়ি মোদী সরকার কৃষি আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। তারপরে কৃষকরা আন্দোলন প্রত্যাহার করলেও তেমন খুশি হয়নি মোদী সরকারের উপর। সেকারণেই হয়তো বিজেপিকে সমর্থন না করে আপের সঙ্গে জোট গড়ার দিেক এগোচ্ছে তারা। অনেকটাই সেই আলোচনা এগিয়ে িগয়েছে। আরও কৃষকদের ভোট নিয়েই পাঞ্জাবে নিজেদের শক্তিশালী করে তুলতে চাইছে।

পাঞ্জাবে অশান্তি
এদিকে ভোটের আগেই পাঞ্জাবে দফায় দফায় অশান্তি বাড়তে শুরু করেছে। পাঞ্জাবে কয়েকদিন আগেই গণপিটুনিতে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তারপরেই লুধিয়ানা কোর্টে আরডিএক্স বিস্ফোরণ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই ঘটনায় পাক মদতপুষ্ট খালিস্তানি জঙ্গিদের হাত রয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। ভোটের মুখে আরও নাশকতার ঘটনা ঘটতে পারে বলে সতর্ক করেছেন গোয়েন্দারা। পাঞ্জাব সরকারকে এই নিয়ে সতর্ক করেছে গোয়েন্দারা। কাশ্মীরের পর এখন পাঞ্জাবকে টার্গেট করেছে গোয়েন্দারা। সেকারণে পাঞ্জাবে নাশকতার ঘটনা আরও বাড়বে বলে মনে করছে তারা।
