সফল 'মেড ইন ইন্ডিয়া' স্লোগান, এবার ভারতে তৈরি করোনা ভাইরাসের টেস্ট কিটে পরীক্ষার অনুমতি
করোনা ভাইরাসের টেস্ট কিট নিয়ে সমস্যার সমাধান হতে চলেছে। পুনের সংস্থা বাণিজ্যাকভাবে টেস্ট কিট তৈরির অনুমতি পেয়েছে। সংস্থার আশ্বাস একসপ্তাহের মধ্যে তারা এক লক্ষ কিট তৈরি করতে পারবে।
করোনা ভাইরাসের টেস্ট কিট নিয়ে সমস্যার সমাধান হতে চলেছে। পুনের সংস্থা বাণিজ্যাকভাবে টেস্ট কিট তৈরির অনুমতি পেয়েছে। সংস্থার আশ্বাস একসপ্তাহের মধ্যে তারা এক লক্ষ কিট তৈরি করতে পারবে। প্রয়োজনে আরও বেশিও তৈরি করা যাবে। একচি কিটেই ১০০ রোগীর পরীক্ষা করা যায় বলেও দাবি করা হয়েছে সংস্থার তরফে। পাশাপাশি তাদের আরও দাবি আড়াই ঘন্টার মধ্যেই পরীক্ষার ফল জানা যাবে। বর্তমানে পরীক্ষায় ফল পেতে সময় লেগে যায় সাত ঘন্টার মতো।
পুনের সংস্থায় তৈরি হচ্ছে টেস্ট কিট
পুনের সংস্থা মাইল্যাব ডিসকভারি সলিউশনস প্রাইভেট লিমিটেডের তৈরি টেস্ট কিট দিয়ে পরীক্ষা হবে করোনা ভাইরাসের। এই সংস্থা আগে থেকে মলিকিউলার ডায়াগনস্টিক টেস্ট কিট তৈরি করে। ছয় সপ্তাহের মধ্যে তারা করোনা ভাইরাস পরীক্ষার উপযুক্ত টেস্ট কিট তৈরি করে ফেলেছে।
দেওয়া হয়েছে অনুমতি
টেস্ট কিটের নাম মাইল্যাব প্যাথোডিটেক্ট কোভিড-নাইন্টিন কোয়ালিটেটিভ পিসিআর কিট। এই কিট বাণিজ্যিক উৎপাদনের জন্য সংস্থাকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ইন্ডিয়ান এফডিএ, সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন থেকে। ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার থেকেও এই কিট তৈরির ক্লিয়ারেন্স পাওয়া গিয়েছে। এছাড়াও এই সংস্থার তৈরি কিটে সন্তুষ্ট আইসিএমআরও। সংস্থার ডিরেক্টর হাসমুখ রাওয়াল জানিয়েছেন বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ও সিডিসি-র গাইডলাইন মেনেই এই টেস্ট কিট তৈরি করা হয়েছে।
বর্তমানে যেসব কিট তৈরি করে এই সংস্থা
বর্তমানে মাইল্যাব সংস্থা হাসপাতাল ও ব্ল্যাড ব্যাঙ্কগুলির জন্য আইডি-ন্যাট স্ক্রিনিং কিট তৈরি করে। এছাড়াও এইচআইভি, এইচবিভি এবং এইচসিভি কিটও তৈরি করে থাকে এই সংস্থা।
পাওয়া যাবে সাশ্রয়ী মূল্য
দেশের সংস্থার তৈরি টেস্ট কিট সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যাবে। যাতে পরীক্ষার খরচও কমবে। প্রতি লক্ষে করোনা ভাইরাস পরীক্ষায় ভারতের স্থান অনেকটাই পিছনের দিকে। সেদিক থেকে দক্ষিণ কোরিয়া ও সিঙ্গাপুরের মতো দেশ করোনা ভাইরাসকে ঠেকিয়ে রাখতে পেরেছে সাধারণ মানুষের কাছে পরীক্ষার সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার কারণে।
বর্তমানে টেস্ট কিট আনা হয় জার্মানি থেকে
ভারতে করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় যেসব টেস্ট কিট ব্যবহার করা হচ্ছে তা আনা হচ্ছে জার্মানি থেকে। কিন্তু বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে সেই কিট সংগ্রহেও সমস্যা তৈরি হয়েছে।