পুলওয়ামাকাণ্ডের যে মূলচক্রীকে মৃত বলে ধরা হয়েছিল সেই জঙ্গি এখন জীবিত! গোয়েন্দাদের হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য
২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে উপত্যকার বুকে প্রবল রক্তপাতের ছবি আজও কার্যত প্রতিটি ভারতবাসীর মনে দগদগে ঘায়ের শামিল। ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামাতে পাকিস্তান আশ্রিত জঙ্গিদের হামলা তলে সিআরপিএফ কনভয়ে। মুহূর্তে বিস্ফোরণে শহিদ হন ৪০ জন জওয়ান। সেই ঘটনার ১০০ ঘণ্টার মধ্যে কাশ্মীর জুড়ে প্রবলভাবে জঙ্গি দমনে নামে নিরাপত্তাবাহিনী। এরপরই উঠে আসে সমীর দারের নাম। এই জঙ্গিকে ঘিরেই সাম্প্রতিক গোয়েন্দা রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে।
পুলওয়ামা কাণ্ডের মূল চক্রী জীবিত!
২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ঘটে কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলা। এরপর জানা যায়, ৩১ জুলাই কাশ্মারের বুকে এক এনকাউন্টারে জইশ এ মহম্মদ কমান্ডার মহম্মদ ইসমাইল আলভির সঙ্গেই নিকেশ করা হয় পুলওয়ামা কাণ্ডের মূল চক্রী সমীর দারকে। তবে ২০১৯ সালের সেই রিপোর্টের তথ্য যে আপাতত ভুল বলে দাবি করা হচ্ছে। এনকাউন্টারে মহম্মদ ইসমাইল আলভির মতো জঙ্গিকে নিকেশ করা গেলেও নিরাপত্তাবাহিনির চোখে সম্ভবত ফাঁকি দিয়ে বেরিয়ে গিয়ে পুলওয়ামা কাণ্ডের মূল হোথা সমীর দার বেঁচে গিয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রের তথ্য বলছে , সমীর দার জীবিত।
সমীর দার এখন কী করছে?
জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালের পর থেকে উপত্যকাতেই গা ঢাকা দিয়েই সম্ভবত থেকে গিয়েছে এই কুখ্যাত জঙ্গি। আপাতত কাশ্মীরের বুকে সে নিজের জঙ্গি সংগঠনকে আরও বেশি মজবুত করতে নানা কর্মরাণ্ড করে বেড়াচ্ছে। এদিকে, প্রশ্ন উঠছে ৩১ জুলাই কাশ্মীরের বুকে যে দুই জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছিল , তারমধ্যে যদি একজন জইশ মহম্নদ সন্ত্রাসী শিবিরের মহম্মদ ইসমাইল আলভি হয়, তাহলে অপরজন কে? প্রসঙ্গত, মহম্মদ ইসমাইল আলভি জইশ প্রধান মৌলানা মাসুদ আজহারের আত্মীয়। তার সঙ্গে কাশ্মীরে কে থাকত, যাকে জুলাই মাসে নিকেশ করা হয়েছে? এই প্রশ্নতেই বহু রহস্য লুকিয়ে রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
রহস্য বাড়ছে
এদিকে, পুলওয়ামায় হত্যাকাণ্ডের মূল চক্রী সমীর দার হিসাবে যার দেহটি উদ্ধার হয়, তার বয়স ২২ বছর বলে জানা যায়। শোনা যায়, ২০১৮ সালে সে জইশ এ মহম্মদে যোগ দেয়। এদিকে, এনকাউন্টারের পর সমীরের দেহ তার পরিবারকে দেখান হলে, তারা জানায় সেই দেহটি সমীরের নয়। এমনই দাবি উঠে এসেছে হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে। এদিকে দেহকে কাছ থেকে শনাক্ত করলেও সমীর দারের ছবির সঙ্গে এই দেহটি মেলেনি। সেই জায়গা থেকেই উঠছে নানান প্রশ্ন।
সমীর দার সম্পর্কে যে তথ্য পাওয়া যায়
জানা যায় যে জইশে মহম্মদের মতো জঙ্গি শিবিরে যোগ দেবে বলে ২০১৮ সালে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যায় সমীর দার। যার তুতো ভাই আদিল দারই পুলওয়ামায় সিআরপিএফএর কনভয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল। কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় থেকেই উগ্রপন্থার রাস্তা নিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় সমীর। এরপর তার সন্ধানে তার পরিবারও রিপোর্ট লেখায়। তবে তাতে লাভের লাভ হয়নি। পরে জানা যায়, দক্ষিণ কাশ্মীর থেকে জঙ্গি শিবিরের হয়ে অপরেট করছে সমীর দার।