কাশ্মীরে বড় সাফল্য সেনা বাহিনীর, পুলওয়ামা হামলার মূল চক্রী নিকেশ এনকাউন্টারে
কাশ্মীরে বড় সাফল্য সেনা বাহিনীর, পুলওয়ামা হামলার মূল চক্রী নিকেশ এনকাউন্টারে
কাশ্মীরে সেনাবাগিনীর বড় সাফল্য। জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিকেশ হয়েছে জঈশ-ই-মহম্মদ জঙ্গী এবং পুলওয়ামা হামলার মূল চক্রী মহম্মদ ইসমাল আলভি। জঈশ প্রধান মাসুদ আজহারের পরিবারের লোক ইসমাল। গুলির লড়াইয়ে ইসমাল ছাড়াও আরও দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলার মূল চক্রী ছিল এই ইসমাল। এমনই জানিয়েছে কাশ্মীর পুলিশ।
কাশ্মীরে এনকাউন্টার
সকাল থেকেই সরগরম ছিল কাশ্মীর। ড্রোন হামলার ঘটনায় একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশ। তারই মধ্যে শুরু হয় এনকাউন্টা। সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই। পুলওয়ামার ডাচিগ্রাম জঙ্গলে জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর পেয়েছিল সেনা বাহিনী। সেই সূত্র ধরেই তল্লািশ শুরু করে তারা। টের পেয়ে যায় জঙ্গিরাও। গুলি চালাতে শুরু করে জওয়ানদের উদ্দেশ্য করে। পাল্টা গুলি চালায় জওয়ানরাও। গোটা এলাকা কর্ডন করে রেখেছে জঙ্গিরা।
নিকেশ জঈশ জঙ্গি
গুলির লড়াইয়ে তিন জঈশ জঙ্গি মারা গিয়েছে বলে জানিয়েছে কাশ্মীর পুলিশ। তার মধ্যে এক জঙ্গি সরাসরি মাসুদ আজহারের পরিবারের লোক বলে জানা গিয়েছে। পুলওয়ামা হামলার মূল চক্রী ছিলেন সেই জঙ্গি তার নাম মহম্মদ ইসমাল আলভি ওরফে লম্বো। আদনান নামেও পরিচিত ছিল সে। পাকিস্তানি নাগরিক ইসমাল। নাশকতা চালানোর জন্যই কাশ্মীরে প্রবেশ করেছিল সে। টুইটে এই সাফল্যে জন্য সেনাবাহিনীর জওয়ানদের অভিনন্দন জানিয়েছে কাশ্মীর পুলিশ। আরও দুই জঙ্গির পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তবে গুলির লড়াই এখনও চলছে বলে জানা গিয়েছে।
পুলওয়ামা হামলা
২০১৯সালে পুলওয়ামায় ভয়ঙ্কর নাশকতা চালিেয়ছিল জঙ্গিরা। বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি নিয়ে সরাসরি সেনা কনভয়ে ঢুকে পড়েছিল তারা। সেখানেই বিস্ফোরণ ঘটিয়ে কমপক্ষে ৪০ জন জওয়ানের মৃত্যু ঘটাতে সক্ষম হয়েছিল তারা। সেই হামলায় বঙ্গের একাধিক জওয়ান মারা গিয়েছিলেন। পুরো পরিকল্পনাটাই করেছিলেন জঈশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহার। আর বাস্তবে সেটাকে কার্যকর করেছিল কাশ্মীরের জঙ্গিরা। সেই চক্রান্তে সামিল ছিল ইসমালও। তার নামে চার্জশিটও দিয়েছিল এনআইএ।
বালাকোট এয়ার স্ট্রাইক
পুলওয়ামা হামলার বদলা নিয়ে পাকিস্তানের পালাকোটে এয়ার স্ট্রাইক চালিয়েছিল ভারত। সীমান্তের ওপারে গিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল জঙ্গিদের ঘাঁটি। রাতের অন্ধকারে চালানো হয়েছিল সেই অভিযান। সকলের অজান্তেই জঙ্গিদের লঞ্চপ্যাড, ট্রেনিং ক্যাম্প ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছিলেন বায়ুসেনার জওয়ানরা। তার পরের দিন পাল্টা পাক বায়ুসেনার বিমান উড়তে দেখা গিয়েছিল ভারতের সীমান্তেও। এই নিয়ে তোলপাড় হয়েছে গোটা বিশ্ব। ভারতের পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা করেছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।