কৃষি আইন নিয়ে জনরোষ বাড়ছে ভারতীয় সেনায়! বিতর্কের মুখে প্রাক্তন সেনানীদের বিশেষ নির্দেশ কেন্দ্রের
কৃষি আইন নিয়ে জনরোষ বাড়ছে ভারতীয় সেনায়! বিতর্কের মুখে প্রাক্তন সেনানীদের বিশেষ নির্দেশ কেন্দ্রের
দু-মাসের বেশি সময় কেটে গেলেও আজও অধরা সমাঝান সূত্র। এদিকে নয়া কৃষি আইন বাতিল না হলে কোনোভাবেই আন্দোলনের রাস্তা থেকে সরবেন না বলে জানিয়েছেন দিল্লি সীমান্তে আন্দোলনরত কৃষকরা। আর এসবের মাঝেই কৃষকদের পাশে দাঁড়ানো প্রাক্তন সেনানীদের উদ্দেশ্যে বিশেশ নির্দেশিকা বের করতে দেখা গেল কেন্দ্র সরকারকে।
‘জয় জওয়ান জয় কিষাণ’ স্লোগানে মুখরিত দিল্লি সীমানা
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই সেনা পরিধানেই আন্দোলনরত কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে দেখা যায় ছুটিতে থাকা বেশ কিছু ভারতীয় সেনার আধিকারিকদের, দেখা যায় বেশ শিখ ও পাঞ্জাব রেজিমেন্টের কিছু প্রাক্তন সেনানীদের। সেনাদের উপস্থিতেই গোটা দিল্লি সীমানায় মুখরিত হতে থাকে জয় জওয়ান জয় কিষাণ স্লোগান। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা যা দেখেই ভয় পেয়েছে কেন্দ্র।
কী নির্দেশ দিচ্ছে কেন্দ্র ?
এদিকেরই মধ্যেই ২৬ জানুয়ারী প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষকদের ট্রাক্টর মিছিলকে ঘিরে বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। যেখানেও সেনা জওয়ানদের সঙ্গে কৃষকদের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। এমতাবস্থায় নতুন নির্দেশিকায় সেনা ইউনিফর্ম, ব্যাচ, মেডেল ছাড়াই আন্দোলনস্থলে যাওয়ার জন্য প্রাক্তন সেনানীদের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।
জনরোষ তৈরি হয়েছে পাঞ্জাব ও শিখ রেজিমেন্টেও
অন্যদিকে কৃষক আন্দোলনের পাশে দাঁড়াতে বিগত কয়েক মাস থেকেই পাঞ্জাবের একাধিক জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তি সরকারের তরফে প্রাপ্ত বিভিন্ন পুরষ্কার ফিরেয়ে দিয়েছেন। ফিরেয়েছেন পদ্মশ্রী, পদ্ম বিভূষণের মতো পুরষ্কারও। যার ছাপ পড়েছে সেনা শিবিরেও। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ জনরোষ তৈরি হয়েছে পাঞ্জাব ও শিখ রেজিমেন্টে। এদিকে তাদের প্রতিহত করতে এর আগেই কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্র।
নির্দেশিকা জারি কেন্দ্রীয় সৈনিক বোর্ডের তরফে
অন্যদিকে সেনা পরিধান নিয়ে কেন্দ্রের সাফাই, শুধুমাত্র কোনও সরকারি অনুষ্ঠান, সেনা সংক্রান্ত অনুষ্ঠানেই এই ইউনিফর্ম পরা যায়। কোনও জমায়েত, বা আন্দোলনে এই ইউনিফর্ম পরা যাবে না। এমনকী এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সৈনিক বোর্ডের তরফে একটি নির্দেশিকাও প্রকাশ করা হয়েছে। এদিকে সম্প্রতি দিল্লির আন্দোলনরত কৃষকদের সাথে ইউনিফর্ম পড়া এক সেনানীর ছবি ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। তারপর থেকেই শুরু হয় বিতর্ক। যদিও পড়ে জানা যায় তিনি আদপে প্রাক্তন সেনা কর্মী।
অমিত শাহ, জেপি নাড্ডার ৫ দিনের ফারাকে পর পর বঙ্গসফর! হাইভোল্টেজ সূচি একনজরে