বায়ুদূষণের জের, দিল্লিতে জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে জরুরি অবস্থা জারি; স্কুল বন্ধের নির্দেশ কেজরিওয়ালের
বায়ুদূষণের জেরে জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে জরুরি অবস্থা জারি করা হল দিল্লি ও পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিতে। এর জেরে দিল্লি ও সংল্গন এলাকাতে মঙঅলবার পর্যন্ত সমস্ত নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ হওয়া হয়েছে।
বায়ুদূষণের জেরে জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে জরুরি অবস্থা জারি করা হল দিল্লি ও পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিতে। এর জেরে দিল্লি ও সংল্গন এলাকাতে মঙঅলবার পর্যন্ত সমস্ত নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ হওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল টুইট করে মঙ্গলবার পর্যন্ত সমস্ত স্কুল বন্ধের কথা জানিয়ে দেন।
নির্মাণকাজের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি
সুপ্রিম কোর্টের আওতাভুক্ত পরিবেশ দূষণ (প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ) কর্তৃপক্ষ ১০ সদস্যের দূষণ-বিরোধী টাস্কফোর্স গঠন করে। টাস্কফোর্সের সুপারিশে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত দিল্লি-এনসিআর এলাকায় নির্মাণকাজের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি আতসবাজি পোড়ানোর উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। যে সংস্থাগুলি প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার করে না সেগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
চলতি বছরের সর্বাধিক দূষণমাত্রার সাক্ষী হল দিল্লি
এদিকে সুপ্রিমকোর্টের নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করেই দিওয়ালিতে রাজধানীতে চলেছিল দেদার আতস বাজির রমরমা। আর এর জেরে চলতি মরসুমে সর্বাধিক দূষণমাত্রার সাক্ষী হল দিল্লি। শুক্রবার সকাল আটটায় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ছিল ৪৫৯। এদিকে দিল্লির দূষণের জন্য পাঞ্জাব ও হরিয়ানাকে দায়ী করলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আজ দূষণ থেকে স্কুলের ছাত্রদের বাঁচাতে স্কুলের ছাত্রদের মাস্ক বিলি করেন তিনি। দিল্লি সরকার স্কুলগুলির জন্য ৫০ লক্ষ এন৯৫ মাস্ক কিনেছে বলে জানান তিনি।
হরিয়ানা ও পাঞ্জাব সরকারকে দায়ী করলেন কেজরিওয়াল
চলতি বছর এই প্রথমবার দিল্লিতে বাতাসের মান সঙ্কটজনক স্তরে নেমে গেল। ২০১৯ সালেরই জানুয়ারি মাসে শেষবার এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল সেখানে। এদিকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, পাঞ্জাব ও হরিয়ানার জন্যই দিল্লি গ্যাস চেম্বারে পরিণত হয়েছে। আজ কেজরিওয়াল অভিযোগ করেন, "খট্টর ও ক্যাপ্টেন সরকার চাষিদের ফসল পোড়াতে বাধ্য করছে। গতকালও মানুষ পঞ্জাব ও হরিয়ানা ভবনে বিক্ষোভ দেখিয়েছে সরকারের বিরুদ্ধে। মানুষ শ্বাস নিতে পারছে না। আমরা সরকারি ও বেসরকারি স্কুলের প্রতি পড়ুয়াকে দুটি করে মাস্ক দিচ্ছি।"
বায়ুদূষণের কবল থেকে ক্ষুদেদের বাঁচাতে জারি নির্দেশিকা
গতকালই বায়ুদূষণের কবল থেকে ক্ষুদে পড়ুয়াদের বাঁচাতে জারি করা হয়েছিল সরকারি নির্দেশিকা। সমস্ত সরকারি,সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত, ও সরকারি অনুমোদিত বিদ্যালয়গুলিতে ওই নির্দেশিকা পাঠিয়ে স্কুলের বাইরের সমস্ত কার্যকলাপ ও খেলাধুলা থেকে ছাত্রছাত্রীদের বিরত রাখতে বলা হয়েছে। আর আজ অবস্থার অবনতি হওয়ায় মঙ্গলবার পর্যন্ত সমস্ত স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল সরকার।