অসমে নাগরিক নিবন্ধন! বরাক ও ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা দুই ভাগ
নাগরিক নিবন্ধনকে ঘিরে ভয়ে আবহ কাজ করছে অসমবাসীদের মনে। বরাক উপত্যকা এবং ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার মধ্যে বাসিন্দাদের মধ্যে একটা বিভাজন রেখা দেখা দিয়েছে।
নাগরিক নিবন্ধনকে ঘিরে ভয়ে আবহ কাজ করছে অসমবাসীদের মনে। বরাক উপত্যকা এবং ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার মধ্যে বাসিন্দাদের মধ্যে একটা বিভাজন রেখা দেখা দিয়েছে। বরাক উপত্যকা যেখানে বাঙালি অধ্যুষিত, সেখানে ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা অসমীয়া অধ্যুষিত।
দীর্ঘদিনের অসমের বাসিন্দা হওয়া সত্ত্বেও ফরেনার্স ট্রাইবুনালের মুখোমুখি হতে হচ্ছে অনেককেই। ১৯৬৪-র সেই আইন অনুযায়ী বাসিন্দাদের প্রত্যেকের কাছেই নাগরিক হিসেবে পর্যাপ্ত কাগজপত্র থাকা জরুরি। তবে যেসব মানুষ হেনস্থার মুখোমুখি হচ্ছেন, তারা চাইছেন সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল ২০১৬ লাগু হোক। মোদী সরকার প্রতিবেশী দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য সেই সুবিধা এনে দিয়েছে। এই বিল আইনে পরিণত হলে ১৯৫৫-র সিটিজেনশিপের কোনও অস্তিত্ব থাকবে না।
বিলটি এমন সময়ে এসেছে, যখন অসমের বাংলাভাষী বড় অংশের মানুষকে ( তাঁরা যদি হিন্দু হন, তাহলে ধরে নেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশ থেকে এসেছেন) জাতীয় নাগরিক নিবন্ধনের মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে।
অসম আগে থেকেই ধর্মী, ভাষাগত ভাগে বিভক্ত। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল জাতীয় নাগরিক নিবন্ধনে প্রক্রিয়া। এবার তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সিটিজেনশিপ বিল।
সিটিজেনশিপ
বিল
নিয়ে
যুগ্ম
সংসদীয়
কমিটি
ইতিমধ্যেই
বরাক
ও
ব্রহ্মপুত্র
উপত্যকা
সফর
করেছেন।
বরাক
উপত্যকায়
যেখানে
তাঁদের
সাদর
অভ্যর্থনা
করা
হয়েছে,
সেখানে
ব্রহ্মপুত্র
উপত্যকার
কড়া
বিরোধিতার
মধ্যে
পড়তে
হয়েছে
তাঁদের।
রাজনীতিগত
ভাবে
অসমে
প্রথমবারের
জন্য
ক্ষমতায়
আসা
বিজেপিও
সিটিজেনশিপ
বিল
নিয়ে
পড়েছে
মুশকিলে।
কেননা
সরকারেরে
সমর্থনকারী
দল
অসম
গণ
পরিষদ,
যাদের
মূল
ভিত্তিই
হল
অসমীয়াদের
নিয়ে
রাজনীতি,
তারাই
বিরোধিতা
শুরু
করেছে।
এর
সঙ্গে
যুক্ত
হয়েছে
কংগ্রেস,
এআইইউডিএফ,
আসু-সহ
বিভিন্ন
রাজনৈতিক
দল
ও
সংগঠনের
বিরোধিতা
।
এদিকে, নাগরিকত্ব বিল নিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রচারে উদ্বেগপ্রকাশ করেছেন অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং অসম গণ পরিষদ নেতা প্রফুল্ল মহান্ত। নাগরিকত্ব বিল নিয়ে বিরোধিতা মানে বাঙালি বিরোধী, হিন্দু বিরোধী নয় বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। তবে বিষয়টিকে ন্যায়ের দাবিতে লড়াই বলেই মন্তব্য করেছেন তিনি।