কৃষক জেদে ১৯তম দিনেও স্তব্ধ দিল্লি, অবরোধের বিরুদ্ধে শীঘ্রই শুনানি শীর্ষ আদালতে
কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্তে কৃষকদের বিক্ষোভ জারি রয়েছে। এর জেরে রাস্তা অবরোধ হচ্ছে। ফলে, সমস্যায় পড়ছেন নিত্যযাত্রীরা। গাজীপুর, সিঙ্ঘু, টিকরি, চিল্লার সহ একাধিক সীমানা বন্ধ রয়েছে। এই পরিস্থিতি নয়ডা-দিল্লি রাস্তা বন্ধ রয়েছে। এর জেরে দিল্লির আউটার রিং রোড, জিটেকি রোডেও গাড়ি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এদিকে দিল্লিগামী ট্রেনও বন্ধ করার হুমকি দিয়ে রেখেছেন কৃষকরা। যাতে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

দিল্লি সীমান্ত থেকে কৃষকদের সরানোর আবেদন
এদিকে এই অভিযোগ তুলে আইনের এক ছাত্র দিল্লি সীমান্ত থেকে কৃষকদের সরানোর আবেদন জানিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টে। আগামী বৃহস্পতিবার সেই মামলা শুনবে শীর্ষ আদালত। জানা গিয়েছে, এসএ বোবদে, এএস বোপান্না, ভি রামাসুব্রমনিয়ন, এই তিন বিচারপতির বেঞ্চে মামলার শুনানি হবে।

কৃষকদের বিক্ষোভের জেরে নিত্যযাত্রীদের সমস্যা
ঋষভ শর্মা নামে আইনের এক ছাত্র কয়েকদিন আগে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন। তাঁর দাবি ছিল, কৃষকদের বিক্ষোভের জেরে নিত্যযাত্রীদের সমস্যা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, সমাবেশের কারণে কোরোনা সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে। তাই দ্রুত কৃষকদের সরানোর আবেদন জানান তিনি।

কৃষকদের বিক্ষোভ আজ ১৯ দিনে পড়ল
এই নিয়ে কৃষকদের বিক্ষোভ আজ ১৯ দিনে পড়ল। কেন্দ্রের সঙ্গে বারবার বৈঠক হওয়া সত্ত্বেও কোনও রফাসূত্র মেলেনি। কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে অনড় রয়েছেন কৃষকরা। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী বলেন, সরকার সফলতার সঙ্গেই কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে কৃষক সংগঠনগুলি নিজেদের মধ্যেই ঐক্যমতে আসতে পারছেন না।

কৃষক সংগঠনগুলির অনসন কর্মসূচি
এদিকে এদিন শুরু হয় কৃষক সংগঠনগুলির অনসন কর্মসূচি। 'কৃষক বিরোধী' কৃষি আইন নিয়ে দাবি না মানা হলে অনশন৷ কেন্দ্রকে হুঁশিয়ারি আগেই দেওয়া হয়েছিল কৃষক সংগঠনগুলির তরফে৷ সেই মতোই আজ সকাল আটটা থেকে দিল্লি-হরিয়ানার সিঙ্ঘু সীমান্তে অনশনে বসল কৃষকদের একটি দল৷

গাজিপুরেও প্রবল হচ্ছে আন্দোলন
অপরদিকে, গাজিপুরে আন্দোলনও ১৭ দিনে পা দিল৷ আজ সেখানে অনসন আন্দোলনে বসেছেন ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকাইত৷ সকাল আটটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চলবে অনশন আন্দোলন৷ লখিমপুর খেরির এক বিক্ষোভকারী কৃষক সংবাদ সংস্থাকে বলেন, 'যখন আমরা আখের ট্রলি নিয়ে মিলে যাই তখন অনেক সময় ২৪ ঘণ্টা খাবার খাওয়ার সময় পাই না৷ আমরা অনশনের জন্য তৈরি৷'

মমতা 'শূদ্র', অবুঝ! 'বহিরাগত' আক্রমণের বদলে বাংলায় জাতপাতের রাজনীতি বিজেপির?