'দিল্লি চলো', এবার যোগী রাজ্যে ট্রাক্টর চালিয়ে ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা বিক্ষুব্ধ কৃষকদের
কেন্দ্রের নতুন কৃষি আইনের প্রতিবাদে উত্তাল দেশ। পাঞ্জাব-হরিয়ানায় গত কয়েকদিন ধরে কৃষকরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন। কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরোধিতায় আজও সরব ছিলেন কৃষকরা। আজও 'দিল্লি চলো' অভিযান ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে গাজিপুর-গাজিয়াবাদ সীমানায়। বিক্ষুব্ধ কৃষকরা ট্রাক্টর চালিয়ে ব্যারিকেড সরিয়ে দিল্লি অভিমুখে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
সিঙ্ঘু সীমান্ত ও টিকরি সীমান্তে জমায়েত কৃষকদের
এদিকে কৃষি আইনের বিরোধিতায় হাজার হাজার কৃষক সিঙ্ঘু সীমান্ত ও টিকরি সীমান্তে জমায়েত করেছেন। এই পরিস্থিতিতে কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর গতকালই জানিয়ে দিয়েছিলেন, কৃষকদের সঙ্গে আজ আলোচনায় বসতে চায় কেন্দ্র। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এই বৈঠকে নেতৃত্ব দেবেন বলে সূত্রের খবর।
গাজিয়াবাদ-দিল্লি সীমান্তে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ
এদিকে উত্তরপ্রদেশের কৃষকদের সঙ্গে গাজিয়াবাদ-দিল্লি সীমান্তে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে। কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকের আগেই আবার জেপি নাড্ডা, অমিত শাহ, রাজনাথ সিংহরা বৈঠকে বসেন নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতে। এরই মাঝে ৩ ডিসেম্বর দেশজুড়ে 'রাস্তা রোকো'-র ডাক দিল অল ইন্ডিয়া কিষাণ সভা। কৃষি আইন ও বিদ্যুৎ বিল ২০২০ প্রত্যাহারের দাবিতে এই অবরোধের ডাক দিয়েছে তারা।
কৃষকদের উদ্দেশে মোদীর বক্তব্য
যদিও গতকালই কৃষকদের ভুল বোঝানো হচ্ছে, এই অভিযোগে সরব হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি বারাণসীতে বলেছিলেন, 'এখন একটা ট্রেন্ড চলছে। আগে সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করা হত। এখন সিদ্ধান্ত মেনে নিলেও তার পারিপার্শ্বিক ফলাফল নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে যায়। যেই ফলাফল আদৌ ঘটবে কি না, অথবা যার কোনও ভিত্তি নেই, বিরোধীরা সেসব নিয়ে গুজব শুরু করে দেয়। বিরোধিতার মূল ভিত্তিই হল জল্পনা। কৃষি আইনের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।'
মোদীর ভাষণে মন গলেনি কৃষকদের
প্রধানমন্ত্রী মোদী আরও বলেন, 'আগে যেসব ঋণের প্যাকেজ কৃষকদের জন্য নিয়ে আসা হত তার সুবিধা তাঁরা পেতেন না। বড় বড় বাজারে ফসল বিক্রির সুযোগ পাবেন চাষিরা। কৃষকদের স্বার্থ রক্ষার জন্যই কৃষি আইন সংশোধন করা হয়েছে। কৃষকদের কি নিজেদের ফসল বিক্রি করার স্বাধীনতা নেই?' তবে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বক্তব্যে যে কৃষকদের মন গলেনি, তা আজকের ঘটনায় সাফ।