সুপ্রিম কমিটিতে আস্থা নেই প্রতিবাদী কৃষকদের! দেশজোড়া আন্দোলনের মাঝেই নতুন প্রস্তাব কৃষক সংগঠনগুলির
দিন যত গড়াচ্ছে কৃষি আইন নিয়ে জটিলতা ততই বাড়ছে। এদিকে দিল্লি সীমান্তে কৃষক আন্দোলন প্রায় দু-মাস কেটে গেলেও এখনও আইন বাতিল করতে নারাজ কেন্দ্র। এদিকে কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়িয়ে গত সপ্তাহেই নয়া তিনটি কৃষি আইনে স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। নির্দেশ এসেছে বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়ে আলোচনারও। কিন্তু তাতেও সন্তুষ্ট হতে পারছেন না আন্দোলনরত কৃষকরা।

কারা কারা থাকছেন বিশেষজ্ঞ কমিটিতে ?
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কৃষি আইন সংক্রান্ত আলোচনার জন্য সুপ্রিম কোর্টের তৈরি করা কমিটিতে থাকছেন কৃষি অর্থনীতিবিদ অশোক গুলাটি, ভারতীয় কিসান ইউনিয়ন(মান)-এর সভাপতি ভূপিন্দর সিংহ মান, শেতকরি সংগঠনের সভাপতি অনিল ঘানওয়াত এবং ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রমোদকুমার জোশী। কিন্তু বিতর্ক বাঁধছে অন্য জায়গায়।

সুপ্রিম কমিটিতে আস্থা রাখতে পারছেন না প্রতিবাদী কৃষকেরা
সূত্রের খবর, কৃষি আইন সংক্রান্ত আলোচনার ও বাতিলের প্রস্তাবনার জন্য এই চার সদস্যের কমিটি গড়া হলেও তার মধ্যে তিন সদস্যই এর আগে কৃষি আইনের পক্ষেই কথা বলেছেন। তাই সুপ্রিম নির্দেশের পরেও আশ্বস্ত হতে পারছেন না কৃষক কংগঠনের নেতারা। তাদের সাফ বক্তব্য, নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞদের দিয়েই নতুন করে গড়তে হবে এই কমিটি। নাহলে এই কমিটির প্রস্তাব একপেশে হবে বলেই আশঙ্কা তাদের।

শীর্ষ আদালতে কী আর্জি জানাচ্ছেন প্রতিবাদী কৃষকেরা ?
সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের কাছে এমনই আর্জি জানাল কৃষক সংগঠন ভারতীয় কিষান ইউনিয়ন (লোকশক্তি)। এ প্রসঙ্গে ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের আইনজীবীর দাবি, ভূপিন্দর সিংহ ছাড়া কমিটিতে থাকা বাকি তিন সদস্য থাকলে বিচার প্রক্রিয়ায় নিরপেক্ষতা লঙ্ঘিত হতে পারে।কারণ, অশোক গুলাটি, প্রমোদ কুমার যোশী ও অনিল ঘানওয়াত ইতিমধ্যেই কৃষি আইনকে সমর্থন করেছেন। ফলে তাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক।

দু-মাসের মধ্যেই চূড়ান্ত রিপোর্ট পেশের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত প্রায় দু'মাস ধরে দিল্লি সীমানায় তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে অবস্থান আন্দোলন করছেন পাঞ্জাব, হরিয়ানা সহ ভারতের কৃষক সমাজের একটা বড় অংশ। এদিকে কেন্দ্র ও কৃষক ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের মধ্যে এর আগে নয় দফা আলোচনাতেও কোনও সমাধানসূত্রে বেরোয়নি বলেই জানা যাচ্ছে।এদিকে বিশেষ কমিটি গঠনের দশ দিনের মধ্যেই এই কমিটিকে প্রথম বৈঠকে বসারও নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে। বাকী আলোচনা শেষ করতে হবে আগামী দু-মাসের মধ্যে। এমতাবস্থায় কৃষকদের নতুন দাবিতে জল এখন কতদূর গড়ায় সেটাই দেখার।

কৃষি আইন সংক্রান্ত আরটিআইয়ে বিপাকে কেন্দ্র! চিদাম্বরমের তোপের মুখে মোদী সরকার