গোধরা কাণ্ডে কংগ্রেসকে দোষারোপ গুজরাতের সরকারি বোর্ডের বইতে, উঠল গৈরিকীকরণের অভিযোগ
২০০২ সালে গোধরায় সবরমতী এক্সপ্রেসে আগুন লাগানোর ঘটনা স্থান পেল গুজরাতের সরকারি বোর্ডের বইয়ে। 'গুজরাতের রাজকীয় গাথা' নামক বইটির গোধরা বিষয়ক অংশে গোধরার তৎকালীন বিধাকের উপর দোষ চাপানো হয়েছে। সরকারি বইয়ে এভাবে এই দোষারোপের বিষয়টির কড়া নিন্দা জানিয়ে বিরোধিতা করেছে কংগ্রেস।
গুজরাতের বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থ নির্মাণ বোর্ডের এই বইটিকে শিক্ষা ক্ষেত্রে গৈরিকীকরণের চেষ্টা বলে অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস। পাশাপাশি বইয়ের লেখকের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছে বলেও জানায় কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ, বইয়ে আদালতের রায়কে ঘুরিয়ে লেখা হয়েছে। প্রসঙ্গত, বইটির সম্পাদনা করেছেন ভাবনাবেন ডাভে। তিনি বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ। বর্তমানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থ নির্মাণ বোর্ডের ভাইস চেয়ারপার্সন।
২০০২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি গুজরাতের গোধরা এলাকায় আগুন লাগানো হয় সবরমতী এক্সপ্রেসে। ওই ট্রেনের ঝলসে যাওয়া এস৬ কামরায় ছিলেন ৫৯ করসেবক। ট্রেনে আগুন লাগানোর ঘটনা পরবর্তী উত্তেজনার আবহে ৩ দিন ধরে গুজরাত জুড়ে প্রাণ যায় মুসলিম ও হিন্দু সম্প্রদায়ভুক্ত হাজারের বেশি মানুষের। এই প্রেক্ষাপটে এক লক্ষ মুসলিম ও ৪০ হাজার হিন্দু ঘর ছাড়া হন।
এই ঘটনার বর্ণনা করতে গিয়ে সরকারের প্রকাশিত বইয়ে লেখা, "একটি স্থিতিশীল সরকারকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে ২০০২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি একটি একটি ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। অযোধ্যা থেকে ফেরত আসা সবরমতী এক্সপ্রেসের একটি কামরায় আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। সেই ঘটনায় ৫৯ জন করসেবক ঝলসে মারা যান। এই ষড়যন্ত্রের মূল চক্রী ছিলেন সেই সময় গোধরা থেকে নির্বাচিত কংগ্রেসের বিধায়ক।"
গোধরা কাণ্ড ছাড়াও নর্মদা বাধ প্রকল্প তৈরি নিয়েও কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয় বইটিতে। ১৯৬১ সালে প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু। কেন্দ্র ও রাজ্যে একই দলের সরকার থাকলেও প্রকল্পটি বাস্তবায়িত করতে অযথা সময় অপচয় করা হয়েছিল বলে অভিযোগ আনা হয় বইটিতে।