প্রতিবাদ গণতান্ত্রিক অধিকার, জামা মসজিদ পাকিস্তানে নয়, আদালতের ভৎসর্না দিল্লি পুলিশকে
প্রতিবাদ গণতান্ত্রিক অধিকার, জামা মসজিদ পাকিস্তানে নয়, আদালতের ভৎসর্না দিল্লি পুলিশকে
ভীম আর্মি প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদের জামিনের আবেদনের শুনানিতে সরকারি আইনজীবিকে ভৎসর্না করলেন দিল্লির তিস হাজারি আদালতের বিচারক। মঙ্গলবার বিচারক কামিনী লাউ সরকারি আইনজীবীর উদ্দেশ্যে জানান যে ভীম আর্মি প্রধানের গণতান্ত্রিক অধিকার রয়েছে প্রতিবাদ করার। 'কে বলেছে প্রতিবাদ করতে পারবে না, আপনি কি সংবিধান পড়েছেন?’ বিচারক সরাসরি প্রশ্ন করেন আইনজীবীকে।
পুরনো দিল্লির দরিয়াগঞ্জ এলাকায় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে প্রতিবাদ করতে গিয়ে গত ২১ ডিসেম্বর গ্রেফতার হন আজাদ। আজাদের দল ২০ মার্চ পুলিশি অনুমতি না নিয়েই জামা মসজিদ থেকে যন্তর মন্তর পর্যন্ত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে পদযাত্রার আয়োজন করে। প্রতিবাদ করা হল নাগরিকদের অধিকার প্রসঙ্গে বিচারক বলেন, 'আপনি এমন আচরণ করছেন যেন জামা মসজিদ পাকিস্তানে। এমনকী যদি সেটা পাকিস্তানেও হত, তাহলেও সেখানে গিয়ে প্রতিবাদ করা যেত। অবিভক্ত ভারতের অংশ হল পাকিস্তান।’ সরকারি আইনজীবী জানান যে প্রয়োজনীয় অনুমতির দরকার ছিল। বিচারক লাউ পাল্টা মন্তব্য করে জানান সুপ্রিম কোর্ট বারবার বলেছে যে ১৪৪ ধারার অপব্যবহার করা হচ্ছে। সরকারি আইনজীবী এরপর আজাদের এক পোস্ট উল্লেখ করে জানান যে ওই পোস্টে জামা মসজিদে যাওয়ার দাবি করা হয়েছিল। বিচারক প্রশ্ন করেন, 'কোথায় হিংসা হয়েছে? কি ভুল রয়েছে এ ধরনের প্রতিবাদে?’
৯ জানুয়ারি দিল্লি আদালতের পক্ষ থেকে তিহার জেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয় যে আজাদকে জেল থেকে এইমসে স্থানান্তরিত করা হোক। যাতে আজাদের রক্ত সংক্রান্ত রোগ পলিসিথিমিয়ার চিকিৎসা হতে পারে। জামিনের আবেদনে আজাদ জানিয়েছিলেন যে তিনি জামা মসজিদ থেকে দিল্লি গেটের দিকে পদযাত্রা করে জনগণকে হিংসাত্মক ঘটনার জন্য করে প্ররোচিত করে তোলার কোনও প্রমাণ নেই। প্রসঙ্গত, মিছিলে সামিল বিক্ষোভকারীদের পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনী দিল্লি গেটের কাছে থামিয়ে দেয়। এরপরেই তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় ও আরও কয়েকটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ করে। পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের ওপর এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জল কামানের আশ্রয় নেওয়া হয়।
জামিয়াকাণ্ডে দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে ছাত্রদের অভিযোগ শুনবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দল