চাহিদা বেড়েছে তাই অ্যালকোহলযুক্ত স্যানিটাইজারের রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা কেন্দ্রের
চাহিদা বেড়েছে তাই অ্যালকোহলযুক্ত স্যানিটাইজারের রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা কেন্দ্রের
দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার জেরে কেন্দ্রীয় সরকার বুধবার অ্যালকোহলযুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা বাড়িয়ে দিল। যাতে দেশীয় বাজারে তা সহজেই উপলব্ধ হতে পারে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হল স্যানিটাইজার। দেশে এখন অ্যালকোহলযুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজারের চাহিদা প্রচুর, তার জেরেই এই সিদ্ধান্ত।
করোনা থেকে বাঁচতে স্যানিটাইজার
করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হল আগাম সতর্কতা অবলম্বন করা। যার মধ্যে অন্যতম বার বার হাত ধোওয়া। হ্যান্ড ওয়াশের সঙ্গে সঙ্গে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়েও হাত ঘষে নিতে হবে। তবে তা হতে হবে অ্যালকোহলযুক্ত। আর যে কারণ এআচমকাই বাজারে অ্যালকোহলযুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজারের চাহিদা বেড়ে গিয়েছে।
নিষেধাজ্ঞা জারি রপ্তানিতে
এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে ফরেন ট্রেডের ডিরেক্টরেট জেনারেল (ডিজিএফটি) বলেছে, ‘অ্যালকোহলযুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল।' এর আগেও ১৯ মার্চ কেন্দ্র সরকার ভেন্টিলেটর, নিষ্পত্তিযোগ্য মাস্ক, কোভেরালস সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্যের রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। কারণ করোনা মোকাবিলায় দেশের এখন এইসব জিনিসের প্রয়োজন রয়েছে।'
কাঁচা মালও রপ্তানি করা যাবে না
জানা গিয়েছে, ফরেন ট্রেড (ডেভলপমেন্ট ও রেগুলেশন) ১৯৯২ অ্যাক্ট অনুযায়ী, এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুধু অ্যালকোহলযুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজারই নয়, তা বানাতে যে সমস্ত উপকরণ লাগে, তারও রপ্তানি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। এআইএমইডি-এর ফোরাম সমন্বয়কারি রাজীব নাথ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘নির্মাতাদের সমর্থন করার লক্ষ্যে স্বল্পমূল্যে কাঁচামাল ও পর্যাপ্ত পরিমাণে যোগান রাখতে কিছুদিনের জন্য স্যানিটাইজার তৈরির কাঁচামাল রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। তবে মাস্ক রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা খুবই খারাপ খবর কারণ অধিকাংশ মাস্কের ক্রেতারা আগাম অর্থ দিয়ে দিয়েছিল দ্রুত ডেলিভারির জন্য।'
পিপিই কিট সহ এন–৯৫ মাস্কের রপ্তানিতেও নিষেধাজ্ঞা
২৫ ফেব্রুয়ারি ডিজিএফটি-এর পক্ষ থেকে পিপিই কিট সহ এন-৯৫ মাস্কের রপ্তানিতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। একই সময়ে সার্জিকাল ও নিষ্পত্তিযোগ্য মাস্কও রপ্তানি করা হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। ২০১৯ সালের নভেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ভারত ৮৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার উপার্জন করেছে এই রপ্তানি করে। ২০১৮-১৯ আর্থিক বর্ষে ১.২৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে কেন্দ্র।
মিস্টার ট্রোল ইন চিফ', বিজেপির আইটি সেলের প্রধানকে নজিরবিহীন আক্রমণ নুসরতের