বংশপরম্পরা বজায় রেখে কাশ্মীরের আশ্রমে গেলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী
শ্রীনগর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌছে সেখান থেকে সরাসরি উত্তর কাশ্মীরের গান্দারবাল জেলায় মাতা খিরভবানীর মন্দিরে চলে যান প্রিয়াঙ্কা। শ্রীনগর থেকে প্রায় ২৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই মন্দির।
প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর নিরাপত্তজনিত কারণে তাঁর ভ্রমণকালে তুল্লামুল্লা থেকে আটকে দেওয়া মন্দিরের পথে যাওয়া আসার সমস্ত গাড়ি। শ্রীনগরের রাজ্য গোয়েন্দার এক বরিষ্ঠ আধিকারিক জানিয়েছেন, এই সফরের সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কোনও যোগাযোগ নেই। একান্ত ব্যক্তিগত পর্যায়ের এই সফর। এমনকী এই রাজ্যের শীর্ষ বেশ কয়েকজন নেতাও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর এই আচমকা ঠিক হওয়া কাশ্মীর সফরের কথা জানতেন না।
প্রায় ঘন্টা খানেক ওই মন্দিরে কাটান প্রিয়াঙ্কা, সেখানে পুজো দেন, ও প্রার্থনা করেন। সবশেষে শ্রীনগর শহরে এসে পৌছন তিনি। সেখান থেকে বিমানে নয়াদিল্লি ফেরেন।
কাশ্মীরি পন্ডিতদের কাছে খিরভবানীর মন্দির অত্যন্ত পূণ্যস্থান বলে গণ্য করা হয়। প্রিয়াঙ্কার প্রপিতামহ জওহরলাল নেহেরু, ঠাকুমা ইন্দিরা গান্ধী সবাই এই সম্প্রদায় থেকেই এসেছেন। বংশপরম্পরা বজায় রেখে শ্রীনগরের নিশাতের স্বামী লক্ষ্মণজু আশ্রমেও যান প্রিয়াঙ্কা। প্রয়াত স্বামী লক্ষ্মণজুর শিষ্যা ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। এই দুই ধার্মিক স্থানে দর্শনের পর শ্রীনগর থেকে বিমানে দিল্লি ফিরে আসেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।