আমার দুই ছেলের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা হয়েছে, অখিলেশের সুরে সুর মিলিয়ে অভিযোগ প্রিয়াঙ্কার
আমার দুই ছেলের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা হয়েছে, অখিলেশের সুরে সুর মিলিয়ে অভিযোগ প্রিয়াঙ্কার
উত্তর প্রদেশে ভোটের প্রাচারে গিয়ে অখিলেশ যাদবের সুরে সুর মেলালেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক দাবি করেছেন তাঁর দুই ছেলের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য কয়েকদিন আগেই যোগী সরকারের বিরুদ্ধে ফোন ট্যাপিংয়ের অভিযোগ এনেছিলেন সমাজবাদী পার্টি নেতা অখিলেশ যাদব।
অখিলেশ যাদব অভিযোগ করেছেন, তাঁর ফোন ট্যাপ করা হয়েছে।এমনকী সমাজবাদী পার্টির সব কার্যালয়েপ ফোন ট্যাপ করে রেকর্ড করা হয়। এবং তাঁদের সব কথোপকথন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ নিজে শোনেন। কাজেই সকলকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে অখিলেশ যাদব বলেছিলেন যদি কেউ তাঁকে ফোন করেন তাহলে তিনি যেন নিশ্চিত থাকেন সেই ফোনটি যোগী আদিত্যনাথ শুনতে পারে। তাই ফোনে কোনও কথা বলার আগে সাবধান।
এবার অখিলেশের সুরে সুর মিলিয়েছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও। এতে নতুন জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। যদিও অখিলেশ যাদব জানিয়ে দিয়েছেন তিনি কোনও ভাবেই কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলাবেন না। উল্টে তৃণমূল কংগ্রেসকে স্বাগত জানিয়েছেন। এদিকে আবার অখিলেশ যাদবের ফোন ট্যাপিংয়ের অভিযোগ পাল্টা জবাব দিয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ। তিনি অভিযোগ করেছেন, অখিলেশ যাদব বোধহয় মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন এই একই কাজ করতেন সেকারণেই তিনি এই অভিযোগ করছেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, পণ্ডিচেরী, অসম সহ ৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের পরে পেগাসাস স্নুপিং ইস্যুতে উত্তাল হয়েছিল বাদল অধিবেশন। ইজরায়েলি স্পাই ওয়ার ব্যাবহারের অভিযোগ উঠেছিল মোদী সরকারের বিরুদ্ধে। রাহুল গান্ধী, প্রশান্ত কিশোর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ দেশের একাধিক তাবর বিরোধী দলের রাজনৈতিক নেতাদের এবং সাংবাদিকদের ফোনে আড়ি পাতা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে এখনও মামলা চলছে শীর্ষ আদালতে।
তারপরেই ফের ৫ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের আগে ফোন ট্যাপিংয়ের অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এদিকে বিজেপি কোমর কষেছে উত্তর প্রদেশ নিয়ে। একের পর এক উন্নয়নমূলক কর্মসূচি শুরু করেছে তারা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একের পর এক উদ্বোধন করে চলেছেন। কুশীনগরে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, গঙ্গানগর এক্সপ্রেসওয়ে, বিশ্বনাথ করিডর থেকে শুরু করে একের পর এক উদ্বোধন করে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উত্তর প্রদেশের ভোটের দিকে তাকিয়ে দিল্লি থেকে ৪০ জন শীর্ষ নেতাকে পাঠাচ্ছে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তাঁরা জেলায় জেলায় বুথে বুথে সংগঠনকে শক্তিশালী করার কাজ করবে। সেই সঙ্গে কোন রণকৌশলে বুথে বুথে কর্মীরা কাজ করবে তাও নির্ধারন করবেন এই ৪০ জন শীর্ষ নেতা।