
প্রিয়াঙ্কাই কংগ্রেসের নেতৃত্বে! ২০২২-এ কামব্যাকের লক্ষ্যে কৌশল তৈরি যোগী-রাজ্যে
উত্তরপ্রদেশ থেকে কংগ্রেসের একমাত্র সাফল্য বলতে সোনিয়া গান্ধীর জয়। এমনকী রাহুল গান্ধীও আমেঠি কেন্দ্র থেকে পরাজিত হয়েছেন। এই অবস্থায় উত্তরপ্রদেশকেই পাখির চোখ করছে কংগ্রেস। লোকসভা নির্বাচনের আগে পুর্ব উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে। এবার তাঁকেই গোটা রাজ্যের নেতৃত্বে এনে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছে কংগ্রেস।

হাতে তিন বছর সময় কংগ্রেসের
২০২২ সালে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনের আগে এখনও প্রায় তিন বছর সময় পাবে কংগ্রেস। তাই প্রিয়াঙ্কার মতো মুখকে সামনে এনে উত্তরপ্রদেশের টিম সাজানোর ভাবনা কংগ্রেসের। বর্তমানে উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি রাজ বব্বর। তবুও প্রিয়াঙ্কার উপরই দায়িত্ব বর্তানোর তোড়জোড় শুরু হয়েছে।

উত্তরপ্রদেশে কামব্যাকের লক্ষ্যে
প্রিয়াঙ্কারও কোমর বেঁধেছেন উত্তরপ্রদেশে কামব্যাকের লক্ষ্যে। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশে ১১ হাজারেরও বেশি দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। গত কয়েকমাসে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রতিদিন ১১ ঘন্টা দলের কর্মীদের সঙ্গে কাটিয়েছেন। তিনি পূর্ব এবং পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের সমস্ত সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎও করেছেন।

প্রিয়াঙ্কার লড়াই চলছে, চলবে
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী আনুষ্ঠানিক প্রবেশ ঘটে রাজনীতিতে এবং কংগ্রেসে। তারপর তাঁকে উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব দেন রাহুল গান্ধী। তাঁর সঙ্গে মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকেও পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের ইনচার্জ করা হয়েছিল। তখন থেকেই প্রিয়াঙ্কার লড়াই চলছে।

যোগী সরকারের নতি স্বীকার
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী সেই থেকেই যোগী আদিত্যনাথ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন থেকে একচুলও সরে আসেননি। সোনভদ্র হত্যাযজ্ঞের পরে তিনি দেখা করতে গিয়েছিলেন মৃতের পরিবারের সঙ্গে। তখন তাঁকে আটক করা হয়। একটি গেস্ট হাউসে তাঁকে আটকে রাখা হয়েছিল। তিনি এই আন্দোলনে যোগী সরকারকে নতি স্বীকার করতে বাধ্য করেছিলেন।
[আরও পড়ুন: ফের দিঘার উত্তাল সমুদ্রে তলিয়ে গেলেন পর্যটক]