অ্যাপোলো হাসপাতালে আজও কোমায় 'জীবিত' প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি
দীর্ঘ ৮ বছর কেটে গিয়েছে, হাসপাতালের বিছানায় আজও নিথর প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি। প্রাণটা শরীরে রয়ে গিয়েছে এখনও। তবু সাড়া দিচ্ছে না মস্তিষ্ক।
নয়াদিল্লি, ৫ ডিসেম্বর : দীর্ঘ ৮ বছর কেটে গিয়েছে, হাসপাতালের বিছানায় আজও নিথর প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি। প্রাণটা শরীরে রয়ে গিয়েছে এখনও। তবু সাড়া দিচ্ছে না মস্তিষ্ক।
প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ এবং কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি। জনপ্রিয় জননেতা ছিলেন তিনি। কিন্তু স্ট্রোক ও পক্ষাঘাতে পর কোমায় চলে যান তিনি ২০০৮ সাল থেকে নয়াদিল্লিতে অ্যাপোলো হাসপাতালে তিনি ভর্তি।
ভয়াবহ স্ট্রোকের কারণে পক্ষাঘাতে তাঁর কথা বন্ধ হয়ে যায়। মস্তিষ্কে রক্তাচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শরীরের স্বাভাবিক ক্রিয়া চলছে। কিন্তু মস্তিষ্ক সাড়া দেওয়া পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে। গলায়, পেটে নল লাগিয়ে খাবার ঢোকানো হচ্ছে শরীরে। আশে পাশে কী হচ্ছে কিচ্ছুটি টের পাচ্ছেন না একসময়ের এই ডাকাবুকো নেতা।
প্রিয়রঞ্জনের অযান্ত্রিক হয়ে যাওয়ার পর হঠাৎই রাজনীতিতে উত্থান হয় তাঁর স্ত্রী দীপা দাসমুন্সির। কিন্তু দীপার আগমনেও প্রিয়রঞ্জনের জনপ্রিয়তায় তখন এক ফোঁটাও ভাঁটা পড়েনি। তবে সময় চিত্রটা পাল্টে দিয়েছে। দীর্ঘদিন হাসপাতালে 'ঘুমিয়ে' থাকায় জনপ্রিয় নেতাকে আজ প্রায় ভুলে গিয়েছে সবাই।
২০১৪ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন দিল্লিতে অ্যাপোলো হাসপাতালে থাকার খরচ কেন্দ্রই করবে।
৬৯ বছরের প্রিয়রঞ্জনের গত ৮ বছর ধরে হাসপাতালের বিছানাতেই রয়েছেন। যদিও চিকিৎসকরা জানিয়ে দিয়েছিলেন, বাড়িতে রেখেও তাঁর চিকিৎসা করা যেতে পারে, কারণ শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কাজ করার জন্য কোনও যান্ত্রিক সাহায্যের দরকার নেই।
তবুও আজও ডাকাবুকো প্রিয়রঞ্জনের ঠিকানা দিল্লির অ্যাপোলো হাসপাতালই।