চিকিৎসা করাতে এবার সহজেই পাবেন মেডিক্যাল লোন, জেনে নিন বিস্তারিত
হেলথ লোন স্টার্ট আপগুলি গড়ে বার্ষিক ১২-১৫ শতাংশ সুদের হারে ঋণ দিচ্ছে যা ছয় থেকে আটচল্লিশ মাসের মধ্যে শোধ করতে হবে।
বর্তমান যুগে মেডিক্যাল এমার্জেন্সির খরচ আগের চেয়ে অনেক বেড়ে গিয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাতে ৫ থেকে ১৫ লক্ষের মধ্যে খরচ পড়ে। অনেক সময় বা বেড়ে ৫০ লক্ষে গিয়ে পৌঁছয়। সেই সমস্যায় এগিয়ে এসেছে ক্রেডিহেলথ, আরোগ্য ফিনান্স নামের স্টার্টআপগুলি। পাশাপাশি ক্যাশকুমার, ব্যাঙ্কবাজারের মতো সংস্থার কাছেও মেডিক্যাল খাতে ঋণের হাজারো অনুরোধ আসছে।
ভারতের সংখ্যাধিক্য মানুষের নামে এখনও কোনও মেডিক্লেম নেই। কারও কারও আবার অফিসের হেলথ পলিসি করা রয়েছে। এদিকে এই ধরনের হেলথ লোন স্টার্ট আপগুলি গড়ে বার্ষিক ১২-১৫ শতাংশ সুদের হারে ঋণ দিচ্ছে যা ছয় থেকে আটচল্লিশ মাসের মধ্যে শোধ করতে হবে।
আরোগ্য ফিনান্স এমনই এক সংস্থা। এরা ২ কোটি টাকা পর্যন্ত মেডিক্যাল ঋণ দিচ্ছে। সংস্থার তরফে সিইও পিটার জোসের বক্তব্য, বীমা কোম্পানিগুলি ঋণ দেওয়ার আগে নানা তথ্য খুঁটিয়ে দেখে। বেশি বয়স হয়ে গেলে ঋণ দিতে চায় না। এমনকী ক্যানসারের চিকিৎসায় ঋণ দেয় না। তবে তাঁরা ঋণ দেওয়ার সময় এত জটিল প্রক্রিয়া মেনে চলেন না। রোগীদের পাশে দাঁড়ানোর কথা সবসময় তাদের মাথায় থাকে। এভাবেই মুম্বই, কলকাতা, বেঙ্গালুরু, দিল্লি-এনসিআর এলাকায় কাজ শুরু করেছে এই সংস্থা।
মাত্র ১ হাজার টাকার এমার্জেন্সি কার্ডও রয়েছে এই সংস্থার। বছরে ১ হাজার টাকা দিয়ে কেনার পরে ২৫০ টাকা দিয়ে রিনিউ করতে হবে কার্ড। ক্রেডিহেলথের তরফেও জানানো হয়েছে যে ১২-১৫ শতাংশের বেশি সুদ কোনওভাবেই নেওয়া হয় না।
ক্যাশকুমারের মতো সংস্থা জানিয়েছে কোনও সিকিউরিটি বা গ্যারান্টার ছাড়াই ১০ হাজার থেকে ৩০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত মেডিক্যাল ঋণ দেয় তাঁরা। তবে তাঁদের ক্ষেত্রে সুদের হার ১২-৩৫ শতাংশের মধ্যে ঘোরাফেরা করে। এক থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে ঋণ শোধ করতে হয়। এখনও পর্যন্ত ৩০ কোটি টাকা ঋণ দিয়ে ফেলেছে বলে জানা গিয়েছে। ফলে বোঝাই যাচ্ছে, এই ধরনের সংস্থা থেকেও প্রথাগত ছক থেকে বেরিয়ে মানুষ মেডিক্যাল ঋণ নিচ্ছেন। আগামিদিনে এই হার আরও বাড়বে বলেই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।