মোদী-রাজ্য থেকে পতনের সূত্রপাত বিজেপির! বিহার-দিল্লিতে হার অবধারিত, ফুটছে কংগ্রেস
ঝাড়খণ্ডে বিজেপির পরাজয়ের পর দিল্লি-বিহারের ভোট নিয়ে আশার আলো দেখছে কংগ্রেস।
ঝাড়খণ্ডে বিজেপির পরাজয়ের পর দিল্লি-বিহারের ভোট নিয়ে আশার আলো দেখছে কংগ্রেস। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ চৌহান দাবি করেন, বিজেপি আগামী বছর বিহার ও দিল্লি বিধানসভা ভোটেও পরাজয়ের মুখোমুখি হবে। গুজরাটের নির্বাচন থেকেই গেরুয়া পার্টির পতন শুরু হয়েছিল। ঝাড়খণ্ডের পর দিল্লি-বিহারেও তা অব্যাহত থাকবে।
৬৫-র অর্ধেক আসনও পায়নি বিজেপি
ঝাড়খণ্ড বিধানসভা ভোটে বিজেপির গোহারা হওয়ার প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, অমিত শাহ বলেছিলেন আব কি বার ৬৫ পার। অর্থাৎ বিজেপি ৮১টির মধ্যে ৬৫টিরও বেশি আসন দখল করবে। আর বাস্তবে দেখা যাচ্ছে ৬৫-র অর্ধেক আসনও দখল করতে পারেনি বিজেপি।
এক বছরের মধ্যে ৫টি রাজ্যে ক্ষমতাচ্যুত
সোমবার ঝাড়খণ্ডে জেএমএমের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস-আরজেডির তিন দলীয় জোট ৪৭টি আসন জিতে ক্ষমতায় আসে। বিজেপি ২৫টি আসন লাভ করে। এর ফলে বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করে ক্ষমতা আসে কংগ্রেস-জোট। এই হারের ফলে এক বছরের মধ্যে ৫টি রাজ্য ক্ষমতাচ্যুত হয় বিজেপি।
পতন শুরু মোদী-রাজ্য গুজরাট থেকে
পৃথ্বিরাজ চৌহান বলেন, "বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির পতন শুরু হয়েছিল মোদী-রাজ্য গুজরাট থেকে। তারপর একে একে ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। কর্ণাটক থেকে শুরু করে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিশগড়ে বিজেপিকে হার মানতে হয়। সম্প্রতি মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানা ও ঝাড়খণ্ডেও হারতে হয় বিজেপিকে। তার মধ্যে হরিয়ানা কোনওরকমে ম্যানেজ করে ক্ষমতা ধরে রাখে বিজেপি।
ঝাড়খণ্ডের হারের পর বিহার-দিল্লি
তাঁরা দাবি, ঝাড়খণ্ডের হার বুঝিয়ে দিয়েছে, বিহার ও দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনেও পরাজয়ের মুখোমুখি হতে হবে বিজেপিকে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ সাম্প্রতিক নির্বাচনে রাজ্যগুলিতে প্রচারে ঝড় তুলেছিল। সেই নিরিখে কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খণ্ডের নির্বাচনে পুরো শক্তি নিয়ে প্রচার করেনি।
জনমতই ভরসা জোগাচ্ছে কংগ্রেসকে
তাঁর কথায়, "কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব প্রচারে যায়নি, তবু বিজেপি এই তিনটি রাজ্যে হার মেনেছে। এই প্রবণতা থেকে স্পষ্ট, সাধারণ মানুষ রাজ্যের নির্বাচনে বিজেপির পক্ষে ভোট দেয়নি। তারা বিজেপিকে উৎখাত করেছে। আর এই জনমতই ভরসা জোগাচ্ছে কংগ্রেসকে। বিহার ও দিল্লির ভোটে তাই বিজেপিকে হারাতে কোমর বাঁধছে তারা।
এনপিআর এবং জনগণনার মধ্যে পার্থক্য কী? জানুন এক নজরে