বাড়ছে বাণিজ্যিক ঘাটতি, রাজ্যগুলোকে আমদানি কমিয়ে রফতানি বাড়ানোর পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর
বাড়ছে বাণিজ্যিক ঘাটতি, রাজ্যগুলোকে আমদানি কমিয়ে রফতানি বাড়ানোর পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর
ভারতের বাণিজ্যিক উন্নতির জন্য রাজ্যগুলোকে সচেষ্ট হতে হবে। নীতি আয়োগের পরিষদের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, রাজ্যগুলোকে আমদানি কমিয়ে রফতানি বাড়ানোর দিকে জোর দিতে হবে। সাধারণ মানুষকে স্থানীয় পণ্য ব্যবহারের উৎসাহিত করতে হবে। তবেই দেশের ক্রমবর্ধমান বাণিজ্যিক ঘাটতি কমবে বলে তিনি মনে করছেন।
দেশীর পণ্য ব্যবহারের আহ্বান রাজ্যগুলোকে
জুলাই মাসে দেশে বাণিজ্যিক ঘাটতি ছিল ৩১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা যথেষ্ট চিন্তার কারণ। এই প্রসঙ্গে রবিবার নীতি আয়োগের সপ্তম পরিষদীয় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, প্রতিটি রাজ্যকে দেশীয় পণ্য ব্যবহারের ওপর জোর দিতে হবে। রাজ্যের মানুষ যাতে দেশের পণ্যের ওপর বেশি নির্ভরশীল হয় সেটা দেখতে হবে। পাশাপাশি রাজ্যগুলোকে বিদেশ থেকে আমদানি কমাতে হবে। তিনি বলেন, এটা কোনও রাজনৈতিক এজেন্ডা নয়। বরং বলা যেতে পারে, দেশের আর্থিক উন্নতির কথা চিন্তা করে আমদানি কমিয়ে রফতানির ওপর জোর দিতে হবে। তিনি বলেন, ভারতীয় মিশনের অধীনে বাণিজ্য, পর্যটন ও প্রযুক্তির ওপর দেশের প্রতিটি রাজ্যের মনোনিবেশ করা প্রয়োজন।
জোর দিতে হবে কৃষিকাজ ও পশুপালনে
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ভারতের বিশ্বে কৃষির দিক থেকে সর্বোচ্চ স্থান অধিকারের সমস্ত ক্ষমতা রয়েছে। তবে এর জন্য আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে কৃষিকাজ, পশুপালন ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের ওপর জোর দিতে হবে রাজ্যগুলোকে। পাশাপাশি ভোজ্য তেল উৎপাদনের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, ভারত রান্নার তেলের ক্ষেত্রে আমদানির ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। এই নির্ভরশীলতা কমাতে হবে। বৈঠক শেষে নীতি আয়োগের সদস্য ভিকে পাল বলেন, কেন্দ্র আগামী পাঁচ বছরে রান্নার তেলের আমদানি অর্ধেক করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। এক্ষেত্রে রাজ্যগুলো ডাল ও তেলের বীজের নূন্যতম সহায়ক মূল্য বৃদ্ধির দাবি করেছিলেন।
জিএসটি সংগ্রহের পরিমাণ বেড়েছে
নরেন্দ্র মোদী নীতি আয়োগের বৈঠকে জানান, পণ্য ও পরিষেবা কর বা জিএসটি সংগ্রহের পরিমাণ বেড়েছে। জিএসটি সংগ্রহের পরিমাণ আরও বাড়ানোর জন্য কেন্দ্র ও রাজ্যগুলোকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী মনে করেন, দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে জিএসটি সাহায্য করবে। ভারতকে ৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থনীতিতে নিয়ে যাওয়ার জন্য জিএসটি প্রয়োজন অত্যন্তগুরুত্বপূর্ণ। যদিও জিএসটি প্রয়োগের একাধিক সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন বিরোধীরা। স্বাস্থ্য পরিষেবার কিছু ক্ষেত্রে জিএসটির আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। পাশাপাশি প্যাকেটজাত খাদ্যদ্রব্যকেও জিএসটির আওতায় আনা হয়েছে। এর ফলে সাধারণ মানুষের খরচ বেড়ে যাবে বলেও বিরোধীরা অভিযোগ করেছেন। তবে এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কোনও মন্তব্য করেননি।
আপনার জমানাতেই পার্লামেন্টের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে, নাইডুর প্রসংসায় পঞ্চমুখ মোদী