৩ জানুয়ারি থেকে ১৫-১৮ বয়সীদের টিকা, বড়দিনে ওমিক্রন মোকাবিলায় জরুরি ঘোষণা মোদীর
বিশ্বজুড়ে ওমিক্রনের সংক্রমন বাড়ছে। করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন হানা দিয়েছে ভারতে। এই অবস্থায় সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। শনিবার রাতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ওমিক্রন থেকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন দেশবাসীকে। ওমিক্রন মোকাবিলায় দেশ তৈরি বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ৩ জানুয়ারি থেকে ১৫-১৮ বয়সীদের টিকাকরণ শুরু হবে।

জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবাইকে করোনা বিধি মেনে চলতে হবে। মনে রাখতে হবে করোনা এখনও বিদায় নেয়নি ভারত থেকে। আবার অন্য রূপে হানা দিয়েছে করোনা। এখন ওমিক্রনরূপী করোনাকে হারানার পালা। দেশবাসী যেমন করোনার শুরু থেকে লড়াই করে জিতে এসেছেন, এখনও এই লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। আমাদের শেষপর্যন্ত জিততে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশ তৈরি। কেউ আতঙ্কিত হবেন না। দেশে এই মুহূর্তে ১ লক্ষ ৪০ হাজার আইসিইউ বেড রযেছে। দেশে ১৮ লক্ষ আইসোলেশন বেড রয়েছে। তাই কোনওরকম ভয় পাবেন না। শুধু সবই কোভিড বিধি মেনে চলুন, তাহলেই আমরা জিতব। এদিন জাতির উদ্দেশে ভাষণে দেশবাসীকে অভয় দান করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, দেশে ৬১ শতাংশের বেশি মানুষ জোড়া ভ্যাকসিন পেয়ে গিয়েছেন। দেশ সুরক্ষিত। দেশকে সুরক্ষিত রাখতে, দেশবাসীকে সুরক্ষিত রাখতে আমরা নিরন্তর কাজ করে চলেছি। সরকার পাশে রয়েছে, আপনারা শুধু সচেতন থাকুন। তাহলে করোনা যে রূপেই আসুক না কেন আমরা তাকে হারিতে সমর্থ হব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে দ্রুত নাজাল টিকা দেওয়া শুরু হবে। আর ৩ জানুয়ারি থেকে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়া হবে। স্বাস্থ্যকর্মী ও করোনা যোদ্ধাদের জন্য প্রিকশান ডোজ দেওয়া হবে। অর্থাৎ এদিন বুস্টার ডোজের কথা জানিয়েই দিলেন প্রধানমন্ত্রী। ১০ জানুয়ারি থেকে কোমর্বিডিটি সম্পন্ন ষাটোর্ধ্বদেরও বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হবে।

উল্লেখ্য, এদিনই ভারত বায়োটেককে ১২ বছরের বেশি বয়সীদেরও জন্য কোভ্যাক্সিন দেওয়ার অনুমোদন দেয় ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল বা ডিজিসিআই। শনিবার ভারত বায়োটেককে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিশুদের জন্য কোভ্যাক্সিন কোডিড ১৯ ভ্যাকসিনের জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তারপরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করলেন ৩ জানুয়ারি থেকে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের টিকাকরণ শুরু হবে। উল্লেখ্য, সাবজেক্ট এক্সপার্ট কমিটি গত অক্টোবরে ডিজিসিআইকে শিশুদের জন্য কোভ্যাক্সিনকে জরুরি ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার সুপারিশ করেছিল। তারপর ডিজিসিআই সেই অনুমোদন দেয় এদিনই।