এবারে নেই ধনুর্ভঙ্গ, নিশানায় তীর মেরেই দশেরা উদযাপনে সামিল প্রধানমন্ত্রী মোদী
শুক্রবার দিল্লি লাল কিল্লা ময়দানে দশেরা উৎসব উৎযাপনে অংশ নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দ।
প্রতিবছরের মতো এই বছরও দশেরা উপলক্ষ্যে দিল্লির লালকেল্লা ময়দানে ঐতিহ্যবাহী লব-কুশ রামলীলায় অংশ নিলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন দুপুরে প্রধানমন্ত্রী সাই বাবার শততম সমাধি দিবস উপলক্ষ্যে মহারার্ষ্ট্রের শ্রিধিতে গিয়েছিলেন মোদি। সেখানে জনসভা সেড়েই তিনি সরাসরি দিল্লিতে এসে দশেরা উদযাপনের অনুষ্ঠানে সামিল হন।
অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে রাষ্ট্রপতি কোভিন্দ ও প্রধানমন্ত্রী মোদিকে দেখা যায় রামলীলায় অংশগ্রহণকারীদের কপালে জয়তিলক পরিয়ে দিতে। গত বছর রাবণের প্রতীকি মূর্তি লক্ষ্য করে তীর ছুঁড়তে গিয়ে বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তাঁর হাতের ধনুকটিই ভেঙে গিয়েছিল। শেষে বর্শা ছোঁড়ার মতো করে তীর ছুঁড়তে হয়েছিল তাঁকে।
President Ram Nath Kovind and Prime Minister Narendra Modi take part in #Dusshera celebrations at Delhi's Lal Qila maidan. pic.twitter.com/HAOPh8GCIg
— ANI (@ANI) October 19, 2018
এইবার অবশ্য সেরকম কিছু ঘটেনি। আয়োজকরা প্রধানমন্ত্রীর হাতে তীর-ধনুক তুলে দেন। কোনও রকম বিপত্তি ছাড়াই প্রতীকি তীর ছোঁড়েন মোদি। তারপরই রাবণ, মেঘরাজ ও কুম্ভকর্ণের মূর্তি দাহ করার মাধ্যমে শেষ হয় অনুষ্ঠান।
President Ram Nath Kovind and Prime Minister Narendra Modi at Luv-Kush Ramlila, at Delhi's Lal Qila Maidan. pic.twitter.com/ybxRekeLBi
— ANI (@ANI) October 19, 2018
রামায়ণে বর্ণিত আছে বিজয়া দশমী বা দশেরার দিনই শ্রীরামচন্দ্র রাবণ রাজার বিরুদ্ধে জয়লাভ করেছিলেন। সেই ঘটনাকে স্মরণীয় করে রাখতেই এইদিন ভারতের বিভিন্ন স্থানে রামলীলার আয়োজন করা হয়। সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠানটি হয় দিল্লির লালকেল্লার উল্টোদিকের লালকেল্লা ময়দানে।
Delhi: Prime Minister Narendra Modi burns effigy of Ravan during #Dusherra celebrations at Luv-Kush Ramlila in Lal Qila Maidan. pic.twitter.com/TER0Dzw6UZ
— ANI (@ANI) October 19, 2018
১৯২৪ সালে প্রথমবার এখানে রামলীলা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। ভারত স্বাধীন হওয়ার পর থেকে ঐতিহ্যগতভাবে এই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে থাকেন ভারতের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এই অনুষ্ঠান এখন শহরের পরিচয়ের সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে গিয়েছে।