দেশে তাপপ্রবাহ, বৃষ্টিপাত, বর্ষার প্রস্তুতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক প্রধানমন্ত্রী মোদীর
দেশে তাপপ্রবাহ, বৃষ্টিপাত, বর্ষার প্রস্তুতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক প্রধানমন্ত্রী মোদীর
বৃহস্পতিবার তিনদিনের ইউরোপ সফর সেরে দেশে ফিরছেন মোদী৷ ইউরোপ সফর থেকে ফিরেই দেশে সাত থেকে আটটি বৈঠক করবেন মোদী৷ সূত্রের খবর এদিনই দেশে তাপপ্রবাহ, বৃষ্টিপাত, বর্ষার প্রস্তুতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক বসবেন৷ দেশে স্থায়ী তাপপ্রবাহের পাশাপাশি আসন্ন বর্ষা ঋতু মোকাবেলার প্রস্তুতির বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যালোচনা সভায় সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী! দেশের বেশ কয়েকটি স্থান এপ্রিল মাসে শেষ ১২২ বছরে সর্বকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার সাক্ষী ছিল। দেশের বেশ কিছু জায়গাতে ৪৫ডিগ্রি থেকে ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছেছে তাপমাত্রা।
দেশের কোথায় কত তাপমাত্রা!
দেশের আবহাওয়া বিভাগ রাজস্থান, দিল্লি, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ এবং ওড়িশা সহ পাঁচটি রাজ্যের জন্য একটি কমলা সতর্কতা জারি করেছে। ১৯৫১ সালের পর থেকে এই বছরের দ্বিতীয় উষ্ণতম এপ্রিল রেকর্ড করেছে দিল্লি, এপ্রিলে দিল্লির গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস স্পর্শ করেছে৷ দিল্লিতে এপ্রিল মাসের সর্বকালের সর্বোচ্চ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৯৪১ সালে (৪৫.৬ডিগ্রি সেলসিয়াস।) যদিও বৃহস্পতিবার, দিল্লির কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছেন কারণ আগের সন্ধ্যায় শহরের কিছু অংশে শিলাবৃষ্টি এবং বৃষ্টিপাত হয়েছে৷ যা দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামিয়ে আপাত স্বস্তি দিয়েছে!
দেশের তাপ প্রবাহ নিয়ে কী বলেছেন মোদী?
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বুধবার সকাল ৮.৩০টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮.৩০ এর মধ্যে সফদরজং অবজারভেটরি,( শহরের বেস স্টেশন) ১ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে। অন্যদিকে প্রচণ্ড গরমের কারণে দেশে প্রচুর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও ঘটেছে। শেষ কয়েক সপ্তাহে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় হিমাচল প্রদেশেও জঙ্গলে৷ আগুন লেগেছে। গত সপ্তাহেই দেশের প্রধানমন্ত্রী মোদী এই ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা এবং আবর্জনার স্তূপ ও জঙ্গলে আগুনের সংখ্যা সম্পর্কে কঠোর সতর্কতা জারি করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, 'দেশে তাপমাত্রা দ্রুত বাড়ছে এবং বিভিন্ন জায়গায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বাড়ছে। বড় শহরের আবর্জনা স্তুপগুলিতে আগুন এই তাপপ্রবাহে আরও জটিল অবস্থা তৈরি করছে!' পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলার সময়, মোদী রাজ্যগুলিকে হাসপাতাল, কারখানা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলির জন্য অগ্নি-নিরাপত্তা পরীক্ষাকে অগ্রাধিকার দিতে বলেছিলেন।
হিটওয়েভ ও বিদ্যুৎ ঘাটতি মানুষের জীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলছে!
তাপপ্রবাহের সঙ্গেই দেশের বড় অংশে বিদ্যুৎ-এর চাহিদা বেড়ে গিয়েছে৷ যার যোগান দেওয়ার মতো যথেষ্ট বিদ্যুৎ মজুদ নেই দেশের বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে৷ সঙ্গেই কয়লা সঙ্কট আরও বিপত্তি বাড়িয়েছে৷ স্বভাবতই উত্তরপ্রদেশ, বিহার, রাজস্থান, হরিয়ানা, দিল্লি সহ বড় অংশে মানুষ লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ছেন। কমবেশি একই অবস্থা কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশের মতো রাজ্যগুলিতেও৷ একই সঙ্গে আবহাওয়া দফতর একাধিক ঘুর্ণি ঝড়ের পূর্বাভাষ দিয়ে রেখেছে৷ এসব নিয়েই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা বসতে চলেছেন মোদী, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা৷
মমতা-সরকারের মানবিক মুখ, বাংলার সন্তোষ ট্রফি দলের দুই ফুটবলারের চাকরির ঘোষণা