লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর 'বিতর্কিত' মৃত্যু রহস্যের নথি কি প্রকাশ করবে কেন্দ্র! কী বলছে সিআইসি
লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর মৃত্যুর নথি প্রকাশ নিয়ে কেন্দ্রকে নির্দেশ সিআইসি।
ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর মৃত্যু নিয়ে একসময়ে বহু বিতর্ক হয়েছে। দীর্ঘদিন কংগ্রেস আমলে নানা দাবির পরে এই সংক্রান্ত নথি কেন্দ্র প্রকাশ করেনি। তবে এখন ফের নতুন দাবি ওঠায় কেন্দ্রীয় ইনফরমেশন কমিশন (সিআইসি) নির্দেশ দিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের কাছে সমস্ত গোপন নথি প্রকাশ হবে কিনা তা হাজির করে রায় নিতে হবে। তাঁদের নির্দেশের উপরে প্রকাশ হবে নাকি হবে না তা নির্ভর করবে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দফতর, বিদেশ মন্ত্রকের দফতর ও স্বরাষ্ট্র দফতরে এই নির্দেশ পাঠিয়েছে সিআইসি। ১৯৬৬ সালের ১১ জানুয়ারি তাশখন্ডে শাস্ত্রী প্রয়াত হন। সেই নিয়ে আরটিআই আবেদন হয়েছে। তাতে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে কিনা জানতে চাওয়া হয়েছে। যার পরই সিআইসি এই নির্দেশ দিয়েছে।
সিআইসি বলেছে, সমস্ত গোপন নথি প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সামনে আনতে হবে। তাঁদের নির্দেশে নথি কোনও বিশেষজ্ঞ কমিটিতে দিয়ে প্রকাশ করা হবে নাকি অন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা তাঁরা বিচার করবেন।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করতে ১৯৬৬ সালের ১০ জানুয়ারি জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় তাশখন্ড চুক্তি সাক্ষরিত হয়। তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রী ও পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আয়ুব খানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি সাক্ষরিত হয়। ঐতিহাসিক শেষ যুদ্ধ শেষের ঠিক পরের দিনই মৃত্যু হয় লালবাহাদুর শাস্ত্রীর।
জানা গিয়েছিল, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে লালবাহাদুর শাস্ত্রীর। সেইসময় প্রধানমন্ত্রীর শরীরের কোনও ময়নাতদন্ত করা হয়নি। অন্যদিকে পরে লালবাহাদুর শাস্ত্রীর পুত্র সুনীল শাস্ত্রী পরে দাবি করেন, তিনি লালবাহাদুরের শরীরে বেশ কয়েক জায়গায় নীলচে দাগ দেখেন। এছাড়াও পিতার শরীরের নিচের অংশে কাটার চিহ্নও ছিল বলে সেইসময়ে তিনি জানান। তবে পরে কংগ্রেস সরকারের আমলে দীর্ঘদিন বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়নি। তা ধামাচাপা পড়ে যায়। মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পরে ফের একবার লাল বাহাদু শাস্ত্রীর মৃত্যু রহস্য নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।