ভারত কখনই যুদ্ধকে অগ্রাধিকার দেয় না, কার্গিলে জওয়ানদের সঙ্গে দীপাবলি উদযাপন প্রধামন্ত্রীর
ভারত কখনই যুদ্ধকে অগ্রাধিকার দেয় না, কার্গিলে জওয়ানদের সঙ্গে দীপাবলি উদযাপন প্রধামন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রতিবছরের মতো এবারেও জওয়ানদের সঙ্গে দীপাবলি উদযাপন করতে সোমবার সকালে কার্গিলে পৌঁছন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রতিবছর জওয়ানদের সঙ্গে দীপাবলি উদযাপন করেন। গত বছর তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরি সীমান্ত চৌকিতে সেনাদের সঙ্গে দীপাবলি কাটিয়েছিলেন। সোমবার কার্গিলের সেনাদের দীপাবলির শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন। সেখানে তিনি বলেন, ভারতের গর্ব তাদের সেনাবাহিনী। পাশাপাশি তিনি বলেন, ভারত কখনই যুদ্ধকে প্রথম বিকল্প হিসেবে থেকে না। সব থেকে শেষ বিকল্প হিসেবে দেখেন।
জওয়ানদের সঙ্গে দীপাবলি উদযাপন সৌভাগ্যের
সোমবার সকালে কার্গিলে পৌঁছনোর পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জওয়ানদের মিষ্টি ও উপহার দেন। তিনি বলেন, আমি সৌভাগ্যবান যে ভারতের বীর যোদ্ধাদের সঙ্গে দীপাবলি উদযাপন করতে পারছি। এর থেকে ভালো দীপাবলি উদযাপন আর কী হতে পারে। তিনি বলেন, দীবালির মানে হল আতঙ্ক শেষের উৎসব। আতঙ্কের বিনাশে উৎসব। এটা কার্গিল যুদ্ধে ভারতীয় জওয়ানরা করে দেখিয়েছিল।
ভারতের সামরিক বাহিনী আগের থেকে শক্তিশালী
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, সারা বিশ্বকে ভারত শান্তির পথে চলার আবেদন করছে। ভারত কখনও প্রথম বিকল্প হিসেবে যুদ্ধকে গ্রহণ করে না। সর্বশেষ বিকল্প হিসেবে ভারত যুদ্ধকে রাখে। তা সে লঙ্কার যুদ্ধ হোক বা কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ হোক। তিনি জানান, ভারতের সামরিক বাহিনী আগের থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। ভারতের বিমানবাহিনীকে শক্তিশালী করতে একাধিক যুদ্ধ বিমানকে যেমন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, তেমনি দেশীর প্রযুক্তিতে যুদ্ধের কথা মাথায় রেখে বিশেষভাবে তৈরি করা হেলিকপ্টার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
ভারতের প্রধান বাধা দাসত্বের মানসিকতা
দীপাবলির দিন কার্গিলে জওয়ানদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ভারতের উন্নতির পথে প্রধান বাধা হল দাসত্বের মানসিকতা। ইংরেজরা দেশ ছেড়ে চলে গেলেও ভারত স্বাধীন হয়ে গেলেও ভারত দাসত্বের মানসিকতা থেকে মুক্তি পায়নি। কিন্তু বর্তমানে ভারত দাসত্বের মানসিকতা থেকে মুক্তি পেতে চলেছে। দেশের রাজধানীর রাজপথ এতদিক দাসত্বের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এখন সেই সড়কের নাম হয়েছে কতর্ব্য পথ। ইন্ডিয়া গেটের সামনে দাসত্বের প্রতীক বিদ্যমান ছিল। সেখানে এখন ভারতের গর্ব, ভারতের বীর নেতা নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর মূর্তি শোভা পাচ্ছে। ভারতীয় নৌবাহিনীকেো দাসত্বের প্রতীক থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। নৌবাহিনীতে এখন শোভা পাচ্ছে বীর শিবাজির প্রতীক।
বিশ্বের নজর ভারতের দিকে
দীপাবলির দিন জওয়ানদের উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, সারা বিশ্বের নজর এখন ভারতের দিকে। ভারতের সমৃদ্ধি যত বাড়বে, ভারতের অভ্যন্তরে ভারসাম্য তত স্থির হবে। দেশের অভ্যন্তরে শান্তি বাড়বে। আজাদি কি অমৃতকাল ভারতের শক্তির সাক্ষী। সেখানে জওয়ানদের ভূমিকা সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ।