কার দোষে মহারাষ্ট্রে প্রাণ হারাল ১০ সদ্যোজাত! যা উঠে এল হৃদয় বিদারক ঘটনার তদন্তে
মহারাষ্ট্রের ভান্ডারা জেলার এক সরকারি হাসপাতালের এসএনসিইউ-তে আগুন৷ ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১০ সদ্যোজাতর৷ এরপরই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। প্রাথমিক ভাবে সেই তদন্ত থেকে উঠে এসেছে ভয়াবহ তথ্য। জানা গিয়েছে এই ওয়ার্ডের তত্ত্বাবধানে সেই সময় কেউই ছিল না। কোনও হাসপাতাল কর্মী না থাকার কারণই এভাবে বিশ্বের আলো দেখার আগেই নিভে যায় ১০টি তাজা প্রাণের প্রদীপ। সরকার জানিয়েছে যে ১০ জনের মধ্যে ৩ জন সদ্যোজাত আগুনে পুড়ে মারা গিয়েছে, বাকি ৭ জনের মৃত্যুর কারণ নিঃশ্বাস না নিতে পারা।

উনিটে ভর্তি ছিল ১৭ জন শিশু
মহারাষ্ট্রের রাজধানী মুম্বই থেকে ৯০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ভান্ডারা জেলায় চারতলা একটি হাসপাতালের চাইল্ড কেয়ার ইউনিটে ভর্তি ছিল ১৭ জন শিশু৷ আজ রাত ২ নাগাদ সিক নিউবর্ন কেয়ার ইউনিটে আগুন লাগে৷ এর মধ্যে ৭ জন শিশুকে দমকলবাহিনী উদ্ধার করতে পারলেও, যারা আউটবাউন্ড ওয়ার্ডে ভরতি ছিল তাদের উদ্ধার করা যায়নি৷

কী জানাচ্ছেন হাসপাতালের চিকিৎসক?
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে হাসপাতালের এক ডাক্তার জানিয়েছেন, মৃত শিশুদের বয়স এক মাস থেকে তিন মাসের মধ্যে৷ হাসপাতালে আগুন লাগার পর এক নার্স প্রথমে ধোঁয়া দেখতে পেয়ে ডাক্তারদের জানান৷ খবর দেওয়া হয় দমকলে৷ তবে আগুন লাগার কারণ জানা না গেলেও মনে করা হচ্ছে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে৷ ঘটনার বিষয়ে ভান্ডারা জেলা হাসপাতালের সিভিল সার্জন প্রমোদ খান্ডে বলেন, 'চাইল্ড কেয়ার ইউনিটে রাত ২টো নাগাদ ১০ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে৷ ৭ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে৷'

তদন্তের নির্দেশ
ঘটনার খবর পেয়ে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ টোপের পাশাপাশি জেলাশাসক এবং ভান্ডারা জেলার পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলেছেন। পাশাপাশি বিষয়টির তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছেন৷ অন্যদিকে, রাজেশ টোপে মৃতদের পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছেন৷

দুঃখ প্রকাশ মোদী-শাহের
এদিকে, ঘটনাটি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ৷ প্রধানমন্ত্রী টুইটে লিখেছেন, 'মহারাষ্ট্রের ঘটনা হৃদয় বিদারক৷ শোকাহত পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল৷ আশা করছি আহত সকলে খুব শীঘ্রই সুস্থ হয়ে উঠবে৷' অমিত শাহ টুইটে লিখেছেন, 'আমি বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছি৷ সকলের পরিবারের প্রতি সমবেদনা রইল৷'