চাপ মোদী সরকারের উপর! AFSPA প্রত্যাহারের দাবিতে বিধানসভায় প্রস্তাব পাস বিজেপি জোট সরকারের
AFSPA-নিয়ে ক্রমশ চাপ বাড়ছে বিজেপি সরকারের উপর! গত কয়েকদিন আগেই নাগাল্যান্ডে ভারতীয় সেনার গুলিতে ১৩ জন সাধারণ নাগা যুবকের মৃত্যু হয়। ভুল বোঝাবুঝির কারনে ঘটে এই ঘটনা। আর এরপর থেকে উত্তেজনা নাগাল্যান্ডে। ঘটনার প্রায় কয়েক সপ
AFSPA-নিয়ে ক্রমশ চাপ বাড়ছে বিজেপি সরকারের উপর! গত কয়েকদিন আগেই নাগাল্যান্ডে ভারতীয় সেনার গুলিতে ১৩ জন সাধারণ নাগা যুবকের মৃত্যু হয়। ভুল বোঝাবুঝির কারনে ঘটে এই ঘটনা। আর এরপর থেকে উত্তেজনা নাগাল্যান্ডে। ঘটনার প্রায় কয়েক সপ্তাহ কেটে গেলেও এখনও উত্তেজনা উত্তর-পূর্বের রাজ্যের।
বিচার চেয়ে চলছে বিক্ষোভ-আন্দোলন। শুধু একটা অংশে নয়, রাজ্যের রাজধানীতেও ইতিমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে নাগা বিদ্রোহের আঁচ। শুধু বিচার নয়, একই সঙ্গে AFSPA প্রত্যাহারের দাবি উঠতে শুরু করেছে। এই অবস্থায় আজ সোমবার নাগাল্যান্ড বিধানসভায় পাশ হয়ে গেল AFSPA প্রত্যাহার সংক্রান্ত প্রস্তাব।
নাগাল্যান্ডে ক্ষমতায় আঞ্চলিক শক্তির সঙ্গে জোটে রয়েছে বিজেপি। ঘটনার পরেই নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী AFSPA প্রত্যাহারের দাবি জানান কেন্দ্রের কাছে। এমনকি এই বিষয়ে কেন্দ্রের কাছে দাবিও জানান তিনি।
পরবর্তীকালে মন্ত্রিসভার বৈঠকেও AFSPA প্রত্যাহার নিয়ে পদক্ষেপ করা হয়। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে চিঠি নাগাল্যান্ড সরকারের তরফে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। আর এই অবস্থায় কেন্দ্রের অস্বস্তিতে বাড়িয়ে AFSPA নিয়ে আরও একধাপ এগোল নাগাল্যন্ড সরকার। এবার প্রস্তাব পাশ করা হয় নাগা বিধানসভায়।
এদিন বিধানসভার শুরুতেই ঘটনার দুঃখপ্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে ঘটনার তদন্ত দ্রুত শেষ করে দোষীদের শাস্তি দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করা হয়। একই সঙ্গে এদিন বিধানসভার অধ্যক্ষ মন জেলার মানুষদের সরকারের সঙ্গে থাকার বার্তা দেওয়া হয়। সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করারও বার্তা দেওয়া হয়। ঘটনার পর থেকে কার্যত অবরুদ্ধ মন জেলা।
কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি সেনাবাহিনীকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। ফলে তদন্তে দেরি হচ্ছে। সেখানে দাঁড়িয়ে মায়ানমার সীমান্ত ঘেঁষা এই জেলার মানুষকে সহযোগিতা করার বার্তা দেওয়া হয়। তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে সাহায্য করারও বার্তা দেওয়া হয়েছে।
তবে এদিন AFSPA নিয়ে পাশ হওয়া প্রস্তাবে নাগারিকদের দাবি সমর্থন জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ছয় বছরে AFSPA নিয়ে তৃতীয়বারের জন্যে প্রস্তাব পাশ করা হল। উল্লেখ্য, নাগাল্যান্ড সহ উত্তর পূর্বের একাধিক রাজ্যে ভারতীয় সেনাকে বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। বিতর্কিত এলাকাতে সেনাবাহিনীই শেষ কথা বলে। আর তা হল AFSPA। আর এই AFSPA তোলার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে আন্দোলন। তবে নাগাল্যাণ্ডের ঘটনায় তা অন্যমাত্রা পেয়েছে।
এখন দেখার AFSPA নিয়ে কোন পথে হাঁটে কেন্দ্রীয় সরকার। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে এই AFSPA প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা। এই ইস্যুতে সুর চড়িয়েছে কংগ্রেসও। সেখানে দাঁড়িয়ে AFSPA নিয়ে চাপের মুখে সরকার।