প্রেসার কুকার বোমা ব্যবহার হয় কানপুর রেল দুর্ঘটনায়, জেরায় কবুল অভিযুক্তের
তিন জন কে জেরা করে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের হাত এই ঘটনায় আগেই সামনে এসেছে। এবার খবর, ধৃত অভিযুক্তরা জেরায় জানিয়েছে, প্রেসার কুকার বোমা ব্যবহার করে রেল লাইনে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে।
লখনৌ, ২০ জানুয়ারি : গতবছরের নভেম্বরে কানপুরে রেল দুর্ঘটনার ঘটনায় তিন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের জেরা করে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের হাত এই ঘটনায় আগেই সামনে এসেছে। এবার খবর, ধৃত অভিযুক্তরা জেরায় জানিয়েছে, প্রেসার কুকার বোমা ব্যবহার করে রেল লাইনে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে।[উত্তরপ্রদেশে দুটি রেল দুর্ঘটনার নেপথ্যে হাত ছিল পাকিস্তানি আইএসআইয়ের!]
এই মামলার তদন্ত করছে উত্তরপ্রদেশের সন্ত্রাসদমন বিভাগ। তারা জানিয়েছে, ধৃত মতিলাল পাসওয়ান জানিয়েছে, প্রেসার কুকারে বিস্ফোরক ভরে তারা রেল লাইনে রেখে এসেছিল। যার জেরে ১০০ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসা ইন্দোর পাটনা এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয় ও ১৫০ জন মানুষ প্রাণ হারান।[উত্তরপ্রদেশে রেল দুর্ঘটনা, মৃত ২২, আহত ১৫০ এর বেশি]
জানা গিয়েছে, ১০ লিটারের প্রেসার কুকারে আইইডি ভরে রাখা হয়েছিল। গত ২০ নভেম্বর এই ঘটনা ঘটার পরে তদন্তে নেমে জানা যায় রেললাইনে বিপত্তি থাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এরপরে তদন্ত যত এগিয়েছে তত ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব প্রগাঢ় হয়েছে। আর এবার ধৃতদের জেরা করে জঙ্গিযোগের তত্ত্বও সামনে চলে এল।[স্মার্ট নাইবা হোক, সাধারণ ফোনেও এবার কাটা যাবে রেলের টিকিট]
এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বিহারের পূর্ব চম্পারণ জেলা থেকে মতিলাল পাসওয়ান, উমাশঙ্কর প্যাটেল ও মুকেশ যাদবকে গ্রেফতার করা হয়। তারাই জেরায় জানিয়েছে, পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের কথামতোই তারা ভারতীয় রেলকে টার্গেট করেছে।
মতিলাল পাসওয়ান নামে ধৃত ব্যক্তি জানিয়েছে, সে গত ২৮ ডিসেম্বর কানপুরের দেহাতে আর একটি দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে। সাতজন তাতে জড়িত ছিল। ঘটনার মূলচক্রী ব্রিজ কিশোর গিরি নামে এক ব্যক্তি। তাকে সম্প্রতি নেপাল পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এই তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে এটিএস জানিয়েছে।
জানা গিয়েছে, রেল দুর্ঘটনার পিছনে রয়েছে শামসুল হুডা নামে এক জনৈক যে দিল্লির বাসিন্দা। তার আইএসআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। ২৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে সে একাজ করেছে। তার নির্দেশেই ব্রিজকিশোর গিরি ও অন্যরা আইইডি রেখে এসেছিল ইন্দোর-পাটনা এক্সপ্রেসের ট্র্যাকে।