
Presidential election 2022: দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন জানিয়ে আজই দিল্লির পথে দুই তৃণমূল সাংসদ
গত কয়েক বছর ধরে শাসক দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে কাঁথির অধিকারী পরিবারের। শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দিতে সেই ফাটল আরও চওড়া হয়েছে। এবার রাষ্ট্রপতি িনর্বাচনে এক প্রকার অধিকারী পরিবারের সঙ্গে শাসক দলের বিবাদ প্রকাশ্যে চলে এসেছে। সূত্রের খবর এনডিএ-র রাষ্ট্রপতি প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন জািনয়েছে অধিকারী পরিবার। টিএমসি সাংসদ শিশির অধিকারী এবং দিব্যেন্দু অধিকারী ২ জনেই আজ দিল্লি যাচ্ছেন দ্রৌপদী মুর্মুকে ভোট দিতে।

দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন শিশির অধিকারীর
দ্রৌপদী মুর্মুকেে ভোট দিতে দিল্লি যাচ্ছন তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারী। সঙ্গী তাঁর পুত্র তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীও। তৃণমূলের টিকিটে সাংসদ হলেও এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন জািনয়েছেন তাঁরা। আগামীকাল রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। রাজ্য বিধানসভা এসে ভোটা দিতে চান না তাঁরা। তাই সরাসরি দিল্লি উড়ে যাচ্ছেন। সূত্রের খবর আজ সন্ধ্যে ৬টার বিমােন বাবা শিশির অধিকারীকে িনয়ে দিল্লি উড়ে যাবেন সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। ইতিমধ্যেই চিকিৎসকের অনুমতি িনয়ে িনয়েছেন শিশির অধিকারী। চিকিৎসক দিল্লি সফরের অনুমতি দিয়েছেন তাঁকে।

বিদ্রোহী কাঁথির অধিকারী পরিবার
রাষ্ট্রপতি িনর্বাচনকে সামনে রেখে কাঁথির অধিকারী পরিবােরর সঙ্গে শাসক দলের বিরোধ আরও প্রকট হল। শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই অধিকারীদের সঙ্গে শাসক দলের দূরত্ব বাড়তে শুরু করেছিল। বিধানসভা িনর্বাচনের আগে সাংসদ শিশির অধিকারী ছেলে শুভেন্দু অধিকারীকে সমর্থন জানিয়েছিলেন। তখন থেকেই শাসক দলের সঙ্গে বিরোধিতা শুরু হয়েছিল অধিকারী পরিবারের। সেই বিদ্রোহ প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে। ইতিমধ্যেই শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ খারিজের দাবি জানিয়েছে টিএমসি।

বিধায়কদের কলকাতায় হাজিরার নির্দেশ
ক্রস ভোটিং হতে পারে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এই আশঙ্কায় আগেই বিধায়কদের কড়া নির্দেশিকা পাঠিয়েছে শাসকদল টিএমসি। রবিবার রাতের মধ্যে সব বিধায়কদের কলকাতায় হাজির হওয়ার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। আগামীকাল রাষ্ট্রপতি িনর্বাচন। বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ আগেই দাবি করেছিলেন টিএমসির অনেকেই দ্রৌপদী মুর্মুেক ভোট দেবেন। সেই আশঙ্কাতেই বিধায়কদের দ্রুত একজায়গায় করতে তৎপর হয়েছে িটএমসি।

মমতার ইঙ্গিত
কয়েকদিন আগেই টিএমসি সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেছিলেন আগামী দ্রৌপদী মুর্মুর জয়ের সম্ভাবনা বেশি। আগে জানলে অন্য কিছু ভাবতেন। এদিকে বিরোধীরা প্রার্থী করেছে যশবন্ত সিনহাকে। যিনি একটা সময়ে টিএমসিতে যোগ দিয়েছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েই এই মন্তব্যের পরেই শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ইতিমধ্যেই দুই বিরোধী দলের সমর্থন পেয়েছেন দ্রৌপদী মুর্মু।
শিবসেনার ভাঙন রুখতে মরিয়া চেষ্টা, অস্বস্তি বাড়িয়ে উদ্ধব ঠাকরের আবেদন ফেরালেন দেবেন্দ্র ফড়নবীশ!